নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সুইপারদের সাথে খারাপ আচরণ করে আমরা কি বুজাতে চাই। এই বিষয় নিয়ে সাংবাদিক ভাইয়েরা আমাকে প্রশ্ন করে আপনাদের নৌকা মার্কার একজন মেয়রের কাছে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা গিয়েছিল। তাদের বলা হল ভাত খাইতে ভাত পাস না এতো দামী মোবাইল কিনস কই থেকা।
আরো পড়ুন: পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যে ৬৫ শতাংশ ব্যবহারকারী সন্তুষ্ট নন
এটার উত্তর আমি দেব না আমি উত্তর দেই না, আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশে কোথাও কেউ ভাত না খেয়ে নেই শেখ হাসিনার আমলে। ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলে টাকা নেই এত বাড়ি কোথা থেকে হল সেই প্রশ্ন কে করবে। আমরা জানি আমরা নৌকার জন্য ভোট চেয়েছিলাম। আমি নারায়ণগঞ্জের একজন সামান্য কর্মী। আমরা বঙ্গবন্ধুকে চিনেছি তার আদর্শকে চিনেছি। তুই তুইকারি বলা আল্লাহ পছন্দ করে না। আমাদের প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না। যাদের বলা হয়েছে চাকরি খেয়ে দিবো, আমি তাদের সকলের কাছে হাতজোড় করে ক্ষমা চাইছি।বুধবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলীর কানাইনগর সোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের নবীণবরন ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, পুলিশকে গালি দেন যারা তাদের পুলিশের পাহাড়ায় থাকতে হয়। আমাদের ওসামানীয় সম্রাজ্য বলা হয়। আমার দাদা এমপি ছিল, বাবা এমপি ছিল। আমরা তিন ভাই এমপি হয়েছি। আমরা সম্রাজ্য কায়েম করেছি সত্যি। তা দেবোত্তর সম্পত্তি কিংবা কারো জমি দখল করে করিনি। মানুষের মনে জায়গা করে সম্রাজ্য গড়েছি।
আমার বাবা খেলাফত পাননি। তিনি দুই বার এমপি ছিলেন। আমাদের জন্য এক টাকাও রেখে যাননি। নয়শ টাকার জন্য ফরম ফিলাপ করতে পারিনি। আমার বড় ভাই সেলিম ওসমান বাস চালাত। বাইতুল মেকাররমের সামনে মুরগী বিক্রি করেছে কিন্তু মাথা নত করেননি।তিনি বলেন, আমার বাবা জমি দখল করেননি। স্বাধীনতার পর লুট করেননি। হিন্দুদের দেবোত্তর সম্পত্তি দখল করেননি। বাবা আমাদের জন্য টাকা রেখে যাননি। মানুষকে ভালবাসতে শিখিয়ে গিয়েছেন। সেটা নিয়েই বেঁচে আছি।
আমাকে বিভিন্নভাবে গালাগালি করা হয়। ত্রিশ বছর আগে হলে জবাব দিলে শহরে থাকত না। যারা গালাগালি করে আমার তাদের প্রতি মায়া লাগে। আমি দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের হেদায়েত করে।শামীম ওসমান বলেন, ৯৬ সালে এমপি হওয়ার পর প্রথম আমি এই বক্তাবলী ও আলীরটেকের কথা বলেছিলাম। বলেছিলাম এই আলোর নিচের অন্ধকারকে আলো বানাবো। আজ সকল এলাকা থেকে লোকজন এখান দিয়েই আসে। করোনা ও ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারনে কিছুটা সমস্যা চলছে। আল্লাহ যদি আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনে, আজ যে বক্তাবলীকে উপশহর বলা হয়েছে এই বক্তাবলী ও আলীরটেককে নারায়ণগঞ্জের চেয়ে সুন্দর শহর বানাবো।
অনুষ্ঠানে কানাইনগর সোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের গর্ভনিংবডির সভাপতি ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম শওকত আলীর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, আলীরটেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, এনায়েতনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান, ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু, গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজর আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আহম্মেদ লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, ফতুল্লা থানা যুবলীগের সভাপতি মীর সোহেল, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক এহসানুল হক নিপু, ফতুল্লা থানা ছাত্র লীগের সভাপতি আবু মোহাম্মদ শরীফুল হক, কানাইনগর সোবহানিয়া উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
আরো পড়ুন: টস জিতেও রক্ষ্যা পেল না ইংলিশরা