বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

দেশকে মহাবিপদ থেকে রক্ষা করেছেন আওয়ামী লীগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩
  • ১২ বার পঠিত
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেছেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশের বৈপ্লবিক উন্নয়নই করেননি, দেশকে কয়েকটি মহাবিপদ থেকে রক্ষা করেছেন। শতাব্দীর ভয়াবহ মহামারি কভিড থেকে তিনি দেশকে রক্ষা করেছেন, এই মহামারি যেখানে বিশ্বমানবতার জন্য এক মহাবিপদ ছিল এবং যেখানে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতেও লাখ লাখ মানুষ এই মহামারিতে মৃত্যুবরণ করেছে।

আরো পড়ুন:সেকেন্ডের ব্যাবধানে দিল্লিতে ধসে পড়ল ৪ তলা ভবন

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার ৪ নম্বর পালাখাল মডেল ইউনিয়নের ভুইয়ারা গ্রামে এবং ৫ নম্বর পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের মালচোয়া গ্রামে ‘দেশের উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন, শেখ হাসিনার অবদান’ শীর্ষক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উঠান বৈঠকে প্রধান আলোচক হিসেবে ড. সেলিম মাহমুদ এসব কথা বলেন।সেলিম মাহমুদ বলেন, আবার কভিড-পরবর্তী যুদ্ধের ভয়াবহ প্রভাব থেকে তিনি দেশের অর্থনীতিকে রক্ষা করেছেন। এই যুদ্ধের কারণে পৃথিবীর অনেক দেশের অর্থনীতি ধসে পড়েছে। শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগের বাইরে অন্য কোনো সরকারপ্রধান ক্ষমতায় থাকলে দেশের অবস্থা যে ভয়াবহ হতো, সেটি সবাই অনুধাবন করতে পারেন।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গেছেন, তাঁর কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা দেশকে স্বল্পোন্নত রাষ্ট্র থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করেছেন। বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর এটি ছিল জাতি হিসেবে আমাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য। জাতির পিতা শুধু বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে যাননি, তিনি এই রাষ্ট্রকে একটি টেকসই এবং শক্তিশালী অর্থনীতির রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার সব ব্যবস্থা করে দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার পর বাংলাদেশের আদর্শবিরোধী শক্তি বাংলাদেশকে সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে রেখেছিল। জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের হাল ধরেছেন। তিনি যুগান্তকারী সব উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে পাল্টে দিয়েছেন। এত অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বে কোনো রাষ্ট্রনায়ক তার দেশে এত ব্যাপকভিত্তিক উন্নয়ন করতে পারেননি।

আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনার এই ব্যাপক উন্নয়নের মূল সুবিধাভোগী এ দেশের জনগণ। তিনি সত্যিকার অর্থে এ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করেছেন। ২০০৬ সালে বিএনপি যখন ক্ষমতা ছাড়ে তখন দেশের মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৫১০ মার্কিন ডলার। শেখ হাসিনা মাত্র ১৪ বছরে মাথাপিছু আয় ২৯০০ ডলারে উন্নীত করেছেন। বিএনপি ৭১ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি রেখে গিয়েছিল। শেখ হাসিনা এটিকে ৪৬১ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছেন। তারা শিক্ষার হার রেখে গিয়েছিল মাত্র ৪৫ শতাংশে। রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা শিক্ষার হার ৭৫%-এ উন্নীত করেছেন।

শেখ হাসিনার উদ্যোগে দরিদ্রের হার ৪১.৫% থেকে কমে ২০ শতাংশে এবং অতিদরিদ্রের হার ১০.৫% দাঁড়িয়েছে। বিএনপি ২০০৬ সালে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩.৪৮ বিলিয়ন ডলার রেখে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার সরকার এই রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছিল। বিদ্যুৎ খাতে শেখ হাসিনার মাত্র ১৩ বছরের উন্নয়ন এ খাতে দেশের ১০০ বছরের অর্জনকে অতিক্রম করেছে। ১৯১০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত মোট ১০০ বছরে বাংলাদেশে মাত্র ৪৭% মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পেয়েছিল। শেখ হাসিনা মাত্র ১৩ বছরে আরো ৫৩% মানুষকে বিদ্যুতের সুবিধায় এনে দেশের শতভাগ মানুষকে বিদ্যুতের সুবিধা দিয়েছেন।

ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, শেখ হাসিনার মতো রাষ্ট্রনায়ক কোনো দেশে যুগে যুগে জন্মায় না। একটি জাতি শত বছরে এ রকম একজন রাষ্ট্রনায়ক পায়। আওয়ামী লীগ ছাড়া এ দেশের অতীতের সরকারগুলো ক্ষমতায় এসেছিল নিজেদের ভাগ্য গড়ার জন্য। দেশের মানুষকে তারা কিছুই দিতে পারেনি। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থেকে পাঁচ বছর কিংবা ১০ বছরের পরিকল্পনা করেন না। তিনি ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের বহু প্রজন্মের কথা চিন্তা করে পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করেন। ‌‌উন্নয়নশীল বিশ্বে তিনিই একমাত্র রাজনীতিবিদ যিনি তার দেশে ১০০ বছরের উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন এবং সেটি বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।

কচুয়ায় এই উঠান বৈঠকগুলোতে বক্তব্য দেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আইয়ুব আলী পাটোয়ারী, কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগ, কচুয়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাজমুল আলম স্বপন, কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও পৌর যুবলীগের সভাপতি মাহবুব আলমসহ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারাসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।

আরো পড়ুনসরকারের অপকীর্তি বলে শেষ করা যাবে না: মির্জা ফখরুল

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..