প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগটি ধরা পড়লে রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা সম্ভব। চিকিৎসা ব্যয়ও হবে অনেক কম। লক্ষণ ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব, শরীর ফুলে যাওয়া বা পানি জমা, রক্ত শূন্যতা, শ্বাসকষ্ট, অকারণে গা চুলকানো, বার বার প্রস্রাব বেগ আসা।
আরো পড়ুন: অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের বেড়েছে ১৫ রেটিং পয়েন্ট
বাংলাদেশে সরকারি হিসেবে দেখা গেছে এক বছরের ব্যবধানে কিডনি রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে। এই রোগীদের ৮০ ভাগ তাদের চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে পারছেন না। এর মূল কারণ কিডনি রোগের চিকিৎসা বেশ ব্যয়বহুল।
বিশেষ করে ডায়ালিসিসের খরচ বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে ভুক্তভোগী রোগীরা বলছেন দীর্ঘমেয়াদে এই খরচ চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য তাদের নেই।এ কারণে অনেক রোগী মাঝপথে চিকিৎসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন যা তার জন্য বয়ে আনছে নিদারুণ কষ্ট এবং অকাল মৃত্যু।জাতীয় কিডনি ইন্সটিটিউটের সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ১৭ ভাগ বা দুই কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর এই রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যানে সেটা স্পষ্ট।
অধিদফতরের তথ্যমতে, ২০২১ সালের তুলনায় বাংলাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোয় কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে ভর্তি হয়েছেন প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার রোগী। ২০২২ সালে এই রোগী ভর্তির সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৩ হাজারেও বেশি।আবার মৃত্যুহারও বেড়েছে দ্বিগুণ। ২০২১ সালে মারা গিয়েছেন ৫৪১ জন, ২০২২-এ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক হাজার ২৭ জন।এই পরিসংখ্যান শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালের। এর বাইরে বেসরকারি হাসপাতালেও অসংখ্য রোগী চিকিৎসা করাচ্ছেন।জাতীয় কিডনি ইন্সটিটিউট বলছে দেশজুড়ে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের রোগী, ভেজাল খাদ্যগ্রহণ, ধূমপান, সেই সাথে যত্রতত্র অ্যান্টিবায়োটিক ও ব্যথানাশক সেবনের কারণে কিডনি রোগীর সংখ্যা ক্রমে বেড়েই চলছে।প্রতি বছর রোগী বাড়লেও সে হারে সেবার পরিধি সেভাবে বাড়ছে না। সবচেয়ে কষ্টের মধ্যে আছেন প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষেরা।
আরো পড়ুন: অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে সাকিবের বেড়েছে ১৫ রেটিং পয়েন্ট
রংপুরের পীরগাছা উপজেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা মনোয়ারা বেগমের সাত মাস আগে কিডনি রোগ ধরা পড়ে। ততক্ষণে তার দুটো কিডনি প্রায় অকেজো হয়ে পড়েছে। এখন প্রতি সপ্তাহে তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর যাওয়া আসা করতে হয়।
৩৮ বছর বয়সী এক নারী আক্ষেপের সুরে বলেন ‘আমার চিকিৎসায় রংপুর যাওয়া লাগে। যাইতে আসতে তিন শ’ টাকা ভাড়া, এর পরে ইনজেকশন, টেস্ট, ওষুধ মিলায় প্রত্যেক সপ্তাহে পাঁচ থেকে সাত হাজার খরচ যায়। আমি গরিব মানুষ, এতো টাকা কই পাবো। নিজের সব জমি বিক্রি করে দিসি, এখন আমার কিছু নেই। বিছানায় পড়ে যেতে হবে।খরচ বেড়েছে তিন গুণের বেশি।বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগ ধরা পড়লে ওষুধ ও নিয়ম শৃঙ্খলার মাধ্যমে আগে অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
তবে কিডনি যদি অকেজো হয়ে যায় তাহলে কিডনি প্রতিস্থাপন ও ডায়ালিসিস ছাড়া বাঁচার উপায় থাকে না। কিন্তু এই দুটি চিকিৎসা পদ্ধতি অত্যন্ত ব্যয়বহুল।সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালিসিসের ভর্তুকি প্রত্যাহারের পর সেখানে প্রতিবাদের ঘটনাও ঘটেছে।ওই হাসপাতালে কিডনি রোগীরা প্রতি মাসে আটটি ডায়ালিসিসের সেশন ভর্তুকি মূল্যে করাতে পারতেন। প্রতিটি সেশনের প্রকৃত মূল্য দুই হাজার ৯৩৫ টাকা। ভর্তুকির পর দিতে হয় ৫৩৫ টাকার মতো।তবে হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে আটটি সেশনের মধ্যে চারটি সেশন রোগীদের সম্পূর্ণ ফি-তে করতে হচ্ছে।
ফলে আগে যেখানে মাসে আটটি ডায়ালিসিসের জন্য একজন রোগীর খরচ হতো চার হাজার ২৮০ টাকা এখন সেটি বেড়ে হয়েছে ১৩ হাজার ৮৮০ টাকা। অর্থাৎ তিন গুনেরও বেশি।
ডায়ালিসিসের খরচের সাথে ডাক্তারের ভিজিট ফি, বেড ভাড়া, যাতায়াত, খাবার, টেস্টের খরচ, ওষুধপত্র, ইনজেকশন ইত্যাদি বাড়তি খরচও যুক্ত হয়।
আবার কিডনি রোগীর ডায়ালিসিস চলাকালে যেকোনো মুহূর্তে আইসিইউ বা অক্সিজেন নেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সেটারও বড় ধরনের খরচ রয়েছে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশে ডায়ালিসিস-নির্ভর রোগীদের মাসে গড়ে খরচ সর্বনিম্ন ৫০ হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে যায়। যা অনেকের পক্ষেই যোগাড় করা সম্ভব নয়।
বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা হলে খরচ আরো বেশি হয়।
একজন ক্রনিক কিডনি রোগীর সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ডায়ালিসিস করা তার বেঁচে থাকার জন্য অত্যাবশ্যক।
খরচ বেড়ে গেলে বেশিরভাগ রোগীর পক্ষেই এই চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া রীতিমতো অসম্ভব হয়ে পড়ছে।
জাতীয় কিডনি ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, খরচ বেড়ে যাওয়ার কারণে ৮০ ভাগ রোগী ডায়ালিসিস চালিয়ে নিতে পারেন না।
কিডনি দাতার সঙ্কট যেমন প্রকট তেমনি আইনি জটিলতাও রয়েছে। নেফ্রোলজি ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের নেফ্রোলজি ইন বাংলাদেশ প্রবন্ধে বলা হয়েছে, কিডনি বিকল রোগীদের মাত্র পাঁচ শতাংশ প্রতিস্থাপনের সুযোগ পান।
আবার এই চিকিৎসা খরচ চালাতে গিয়ে ধনী থেকে গরিব হয়ে যাওয়ার উদাহরণও কম নয়।
বেশিরভাগই সারা জীবনের সঞ্চিত সম্পদ, ভিটে-বাড়ি সব বিক্রি করে নাহলে ধার-দেনা করে কোনমতে বেঁচে থাকার চেষ্টা করেন।
এভাবে একজন কিডনি রোগীর সাথে তার পরিবারেরও অর্থনৈতিক ও সামাজিক মৃত্যু ঘটে বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এতো বেশি খরচের কারণ কী? কিডনি ডায়ালিসিসে যে সব যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সেগুলো একেকটির দাম ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা। এসব যন্ত্রের পরিচালন খরচও অনেক বেশি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এই যন্ত্রগুলো চালু রাখতে হাসপাতালে আরো অনেক আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সিস্টেম যুক্ত করতে হয়।
আবার একবার ডায়ালিসিস করতে একজন রোগীর যে ফ্লুয়িড লাগে সেটার খরচ পড়ে ২০০০-২২০০ টাকার মতো।
এসব যন্ত্র ও ফ্লুয়িড আমদানি করার সময় মোটা অংকের শুল্ক দেয়া লাগে।
জাতীয় কিডনি ইন্সটিটিউটের পরিচালক বাবরুল আলম জানান, ‘সব মিলিয়ে ভর্তুকি না থাকলে হাসপাতালের পক্ষে দাম কমানোর কোনো সুযোগ নেই।’
ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব কিডনি ডিজিজ অ্যান্ড ইউরোলজির চিকিৎসক ড. আব্দুস সালাম ওসমানীর মতে, বইয়ের নিয়মানুযায়ী একজন কিডনি রোগীর সপ্তাহে ১২ ঘণ্টা বা তিনবার ডায়ালিসিস করা উচিত যা বেশ ব্যয়বহুল।আবার অর্থভাবে কেউ যদি ডায়ালিসিস করানো বাদ দেন সেটি ওই রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।ওসমানী বলেন, ‘রোগীর শারীরিক পরিস্থিতি, আবার অনেক সময় আর্থিক অবস্থা বুঝে আমরা সপ্তাহে আট ঘণ্টা বা দুটা করে ডায়ালিসিসও করতে বলি। কিন্তু কোনো রোগী প্রয়োজনের চাইতে কম ডায়ালাইসিস করালে তার নানা রকম শারীরিক জটিলতা দেখা দেবে এবং আয়ু কমে যাবে ।
তিনি আরো বলেন, ‘যে রোগী ডায়ালিসিস করে ২৫-৩০ বছর বাঁচতে পারতেন, তিনি দুই থেকে পাঁচ বছরেই মারা যাচ্ছেন।’
বাংলাদেশে কিডনি ডায়ালিসিস আরো সহজ ও সহজলভ্য করতে সরকারি উদ্যোগে শুল্ক-মুক্তভাবে আরো বেশি যন্ত্র ও ফ্লুয়িড আমদানির পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ কিডনি পেশেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহেদ হক।
এ দিকে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ বাংলাদেশে কিডনি রোগের চিকিৎসা, ‘সেবামূলক’ না করে ক্রমেই ‘বাণিজ্যিকিকরণ’ করা হচ্ছে।
বিশেষ করে ডায়ালিসিসের খরচকে বিপর্যয়কর আখ্যা দিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বেনজির আহমেদ বলেন, সরকারের উচিত প্রতিটি জেলায় কিডনি হাসপাতাল গড়ে তুলে বিনামূল্যে এই সেবা দেয়া।
এ দিকে প্রতি ১৫ লাখ রোগীর জন্য মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকা নিয়ে তিনি বলেন, ‘কিডনি রোগী সারা দেশে আছে। সবাই যাতে বাড়ির কাছে বিনামূল্যে সেবা পায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে।’
‘এজন্য সরকার ঘোষণা দিয়েছিল প্রতি জেলায় ডায়ালিসিস ইউনিট চালু করবে, কিন্তু এটি বাস্তবতার মুখ দেখেনি। কারণ সরকার দেশে নেফ্রোলজিস্ট (কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক) বাড়ানো, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, ওষুধ আমদানি, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট তৈরি করার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।’
এমন অবস্থায় বাংলাদেশের সব কিডনি রোগীকে ডায়ালিসিসের সেবার আওতায় আনতে স্বাস্থ্য বাজেট তিনগুণ বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিডনি রোগ কেন হয়, কারা বেশি ঝুঁকিতে?
কিডনি মানব শরীরে অনেকটা ফিল্টারের মতো কাজ করে যা শরীরের দূষিত ও ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেয়। কিন্তু কিডনি সেই কাজটি করতে ব্যর্থ হলে সেটি প্রতিস্থাপন করতে হয়, নাহলে ডায়ালিসিস করাতে হয়। এই অবস্থাকে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বলা হয়।
তবে প্রাথমিক অবস্থায় রোগটি ধরা পড়লে চিকিৎসা ও ওষুধের মাধ্যমে কিডনিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এতে খরচও কম পড়ে।কিন্তু রোগটি ক্রনিক রূপ নিলে নিয়মিত ডায়ালিসিস করাতে হয়।
ডায়ালিসিসের অর্থ হল বিকল্প ছাঁকন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে একে মূত্র হিসেবে শরীর থেকে বের করে দেয়া।অর্থাৎ এটি কিডনি রোগের কোন চিকিৎসা নয়, বরং কৃত্রিম উপায়ে কিডনির কাজটি করে দেয়ার মতো, যা নিয়মিত করা অত্যাবশ্যক।চিকিৎসকরা জানান, তাদের কাছে সব বয়সী রোগীরা কিডনি রোগের চিকিৎসা নিতে আসেন। এক্ষেত্রে তারা অল্প বয়সীদের কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
জাতীয় কিডনি ইন্সটিটিউটের পরিচালক বাবরুল আলমের মতে, সম্প্রতিক বছরগুলোয় কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় প্রধান তিনটি কারণ হলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, গ্লোবিউলিন বা কিডনির প্রদাহজনিত রোগ।তিনি আরো বলেন, ‘যাদের ডায়াবেটিস অনিয়ন্ত্রিত থাকে তাদের প্রস্রাবের সাথে অ্যালবুমিন যেতে যেতে কিডনি বিকল হয়ে পড়ে। কায়িক শ্রম কমে যাওয়া, স্থূলতা বাড়া, ইত্যাদি কারণে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, সেই সাথে কিডনি রোগীও বাড়ছে।এক্ষেত্রে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় অ্যালবুমিনের মাত্রা পরীক্ষা করে কিডনির পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা নিয়ে এবং এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।কারও গ্লোবিউলিন ধরা পড়লে সেটির চিকিৎসাও দ্রুত শুরু করতে হবে।এর বাইরে খাদ্যে ভেজাল, বিশেষ করে খাদ্যচক্রে সীসা, পারদ, ক্রোমিয়াম, ক্যাডমিয়ামের মতো ভারী ধাতু ঢুকে পড়া, ফসলে কীটনাশকের ব্যবহার, ধূমপান, যত্রতত্র ওষুধ খাওয়া এমন আরো নানা কারণে একজন সুস্থ মানুষও হঠাৎ কিডনি রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।আবার অনেকের হঠাৎ ডায়রিয়ার কারণে পানিশূণ্যতা, প্রচুর রক্তপাত, ওষুধ খাওয়ার কারণে, হঠাৎ কোন কারণে প্রস্রাবের নালী বাধাগ্রস্ত হলে আকস্মিক কিডনি রোগ হতে পারে বলে তিনি জানান।
আলম বলেন, ‘এক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাসে নজর দেয়ার পাশাপাশি প্রস্রাবে সমস্যা হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কোনো ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বব্যাপী যাদের বয়স ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বে, তাদের কিডনি রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ৭৫ বছরের পরে এই ঝুঁকি আরো বাড়ে। তাই এই বয়সীদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে।লক্ষণ প্রকাশ পায় ক্ষতি হওয়ার পর।
কিডনি রোগের সবচেয়ে ভয়াবহ দিক হল এটি উপসর্গবিহীন হওয়ায় প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়ে না।
কিডনির কার্যক্ষমতা প্রায় ৮০ ভাগ হ্রাস পেলে এর লক্ষণ প্রকাশ পায় বলে জানিয়েছেনে কিডনি ফাউন্ডেশনের পরিচালক বাবরুল আলম। এজন্য তিনি একে নীরব ঘাতক বলে আখ্যা দেন। সূত্র : বিবিসি