সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা মার্কা বিজয়ী চেয়ারম্যানকে সংবর্ধনা দেয়া ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করে উপজেলা বিএনপির আংশিক কমিটি অনুমোদন ও বিএনপির স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীদের কমিটিতে না রাখার অভিযোগ এনে উপজেলা বিএনপির সদ্য ঘোষিত আংশিক কমিটি থেকে ৬ নেতা পদত্যাগ করেছেন।
আরো পড়ুন: জ্বালানি তেলের ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে ইন্দোনেশিয়ায় ১৩ জন নিহত
রোববার (৫ মার্চ) দুপুরে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) চৌহালী উপজেলা বিএনপির ৬ নেতার পদত্যাগ পত্রটি তিনি হাতে পেয়েছেন। ইতিমধ্যে বিষয়টি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে অবগত করা হয়েছে।
পদত্যাগকারি নেতারা হলেন- চৌহালী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মোজাহার মৌলভী, সহ-সভাপতি বকুল সিকদার, সদস্য ইউনুস শিকদার, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রশিদ, আব্দুল আলিম ও আহসান হাবিব দুলাল।
পত্রে পদত্যাগের কারন হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে নব গঠিত চৌহালী উপজেলা বিএনপির আংশিক কমিটি যোগ্যতা নির্ভর কমিটি হয়নি। বিগত ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থীর বাইরে গিয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নৌকা মার্কা সমর্থনকারী ও বিজয়ী আওয়ামী লীগ বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া ব্যক্তিদের দিয়ে উপজেলার আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বিএনপি দলীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ্য নেতাকর্মীদের এই কমিটিতে রাখা হয়নি। এ কারনে দলের নিবেদিত নেতাকর্মী নিস্কিয় হওয়ার সম্ভবনা বেশি। এতে দলের চরম ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ কারনে দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করা হলো।
জেলা বিএনপির কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ জানুয়ারি জাহিদ মোল্লাকে সভাপতি ও ক্বারী ময়নুল ইসলামকে সাধারন সম্পাদক করে চৌহালী উপজেলা বিএনপির ৩১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন দেয় জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদ ও সাধারন সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির নবাগত সভাপতি জাহিদ মোল্যা জানান, যাদের নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে সেখানে অনেকেই সাক্ষর দেইনি৷ আর জেলা বিএনপি বরাবর যে অভিযোগ করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ৷ এতে কমিটির বা উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রমের কোন প্রভাব পড়বে না আর বাবুল সরকার এবং আলমগীর টাইগার সাক্ষর দেইনি যাচাই করতে পারেন ৷
আরো পড়ুন: রাশিয়া থেকে তেল আসছে পাকিস্তানে