আরো পড়ুন: মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীদল:তথ্যমন্ত্রী
এদিকে সাগরদিঘিতে জয়ের পর উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বললেন, ‘এই জোটকে স্থায়ী করতে হবে।’ সিপিএমও তৃণমূলকে ঠেকাতে জোটের পক্ষে।
আরো পড়ুন: মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীদল:তথ্যমন্ত্রী
এদিকে সাগরদিঘিতে জয়ের পর উচ্ছ্বসিত কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বললেন, ‘এই জোটকে স্থায়ী করতে হবে।’ সিপিএমও তৃণমূলকে ঠেকাতে জোটের পক্ষে।
মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনে হারের পর মমতা বলেছেন, ‘তৃণমূলের সঙ্গে মানুষের জোট হবে। আমরা কারো সঙ্গে যাব না। একা লড়ব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে।’
মমতা দাবি করেছেন, ‘সিপিএম ও কংগ্রেস রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে সেটিং করে নিয়েছে। ওদের মধ্যে জোট আছে। তাহলে সিপিএম ও কংগ্রেস কী করে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে? কী করে কংগ্রেস ও সিপিএম নিজেদের বিজেপি-বিরোধী বলে নিজেদের দাবি করে?
মমতার অভিযোগ, ‘সাগরদিঘিতে সিপিএম ও কংগ্রেস সাম্প্রদায়িক তাস খেলেছে। বিজেপি এই তাস খোলাখুলি খেলে। কংগ্রেস ও বামেরা খেলেছে গোপনে। আমরা সিপিএম ও কংগ্রেসের কথা শুনব না। ওরা বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।’
কিছুদিন আগেও দিল্লিতে এসে বিজেপির প্রার্থীর বিরুদ্ধে বিরোধীদের একজন প্রার্থী দেওয়ার কথা বলেছিলেন মমতা। তিনি বিরোধী দলগুলোকে একজোট করার উদ্যোগও নিয়েছিলেন। সেই উদ্যোগ খুব একটা সফল হয়নি। এবার তিনি ‘একলা চলো’র ডাক দিলেন।
কংগ্রেস ও সিপিএমের বক্তব্য
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, ‘ত্রিপুরায় এই জোট ক্ষমতায় আসতে পারেনি ঠিকই, কিন্তু সাগরদিঘির মানুষ জোটকে মেনে নিয়েছেন। গোটা রাজ্যে জোটকে আরো গ্রহণযোগ্য করতে হবে। তাহলেই পঞ্চায়েত ভোটে সাফল্য আসবে।’
সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেছেন, ‘তৃণমূলকে যারা সমর্থন করেছিলেন, তারা টের পেয়েছেন রাজ্যের সর্বনাশ হয়েছে। প্রত্যেক দিন নিয়োগ-দুর্নীতির খবর আসে। নগদে, সোনায়, সম্পত্তিতে কোটি কোটি টাকার কারবার ক্রমশ কালীঘাটের দিকে এগোচ্ছে।’ তার দাবি, মানুষ বুঝেছেন বিভাজন তৈরি করে তাদের ঠকানো হয়েছে।
কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের জোট নিয়ে প্রথম থেকে সোচ্চার ছিলেন আব্দুল মান্নান। সাগরদিঘির ফলের পর তিনি বলেছেন, এই জোট নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। বালিগঞ্জে জোট হলে সেখানেও তারা জিততেন বলে মনে করছেন মান্নান।
আরো পড়ুন: টুঙ্গিপাড়া সফর করলেন ভারতীয় হাইকমিশনার