মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০৯:৪৫ অপরাহ্ন

পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের দাবি বাইকারদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৩ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৩ বার পঠিত
বাইকারদের কল্যাণে আসে না এমন মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা সংশোধন ও পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের দাবি জানিয়েছেন বাইকাররা। আজ শুক্রবার (৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এক হয়ে এসব দাবি জানান বাইকাররা।

আরো পড়ুন: ঢাকা বিভাগের নেতাদের নিয়ে বসছে বিএনপি

মানববন্ধনে বাইকাররা বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম থেকে আমরা জেনেছি যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ মোটরসাইকেল চলাচল নীতিমালা ২০২৩-এর একটি খসড়া তৈরি করেছে। খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, শহরে মোটরসাইকেল ৩০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে চালানো যাবে না। মহাসড়কে মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গতিসীমা ৬০ কিলোমিটার। মহাসড়কে মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১২৬ সিসি ক্ষমতসম্পন্ন মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে। মহাসড়কে চালক ব্যতীত কোনো আরোহী নেওয়া যাবে না। ঈদ ও উৎসবের আগে-পরে ১০ দিন মহাসড়কে মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।

এ রকম আরো কিছু নীতিমালার খসড়া তৈরি করা হয়েছে উল্লেখ করে বাইকাররা আরো বলেন, বেশ কিছু নীতিমালা অপ্রাসঙ্গিক এবং এসব আমাদের শহর ও মহাসড়কে চলাচলের নিরাপত্তা বাড়াবে না, উল্টো ভোগান্তি বাড়াবে। শুধু মোটরসাইকেলের ওপর আইন প্রণয়ন করে জ্যাম ও দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব নয়।

তারা বলেন, আবাসিক এরিয়ায় সর্বোচ্চ গতি ৩০ কিমি। মানছি, কিন্তু সেটা শুধুমাত্র মোটরসাইকেল নয়, সব যানবাহনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হোক। যেখানে আমাদের দেশে সব শহরে অপরিকল্পিত রেজিস্ট্রেশনবিহীন অটোরিকশা, লেগুনা, সিএনজি চলে ৪০-৫০ কিমি স্পিডে। ফুটপাতবিহীন এরিয়ায় হেঁটে চলাচল করাও এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলো নিয়ে আইন প্রণয়ন করুন। এতে করে জ্যাম এবং দুর্ঘটনা কমবে।

তারা আরো বলেন, আমরা যখন মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন করি, তখনই সরকার আমাদের পিলিয়নসহ মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি দিয়েছে। এখন তাদের মনে হয়েছে পিলিয়ন নেওয়া যাবে না। এটা একেবারেই অযৌক্তিক।

দেশের ৭০ শতাংশ মোটরসাইকেল ১২৫ সিসির মধ্যে জানিয়ে বাইকাররা বলেন, বিভিন্ন উৎসবে আমরা পরিবারের সঙ্গে যোগ দিতে মোটরসাইকেল ব্যবহার করি। মূলত যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না থাকায় আমরা এই পন্থা অবলম্বন করতে বাধ্য হয়েছি। তারপর নিজ গন্তব্যে গিয়ে সেখানে নানা চলাফেরায় এই মোটরসাইকেল আমাদের প্রধান বাহন হয়ে থাকে। অথচ আজ বলছে, ঈদ, পূজা-পার্বণে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি যাওয়া যাবে না। তারা এই অযৌক্তিক নীতিমালার খসড়া তৈরি করেছে কোন পন্থায়, সেটি আমাদের জানা নেই।

দাবি জানিয়ে বাইকাররা বলেন, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এই নীতিমালা সংশোধন করা হোক। একই সঙ্গে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি দেওয়া হোক।

মানববন্ধনে বাইক বিডি, কেবি রাইডার্স, ন্যাশনাল বাইকার, বিডি বাইকারস এবং বিএমআরএস গ্রুপসহ ঢাকা শহরে প্রায় হাজারের বেশি বাইকার উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন: নেত্রকোনায় ইমামকে চুরির অপবাদ

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..