ভূমিকম্পের পর উদ্ধারকাজে দেরি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান।
আরো পড়ুন: একই জমিতে ক্যাপসিকাম, লেটুসপাতা ও সূর্যমুখী চাষ
সোমবার ভূমিকম্পে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর একটি আদিয়ামান পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া মানুষদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমা চান তিনি। খবর এএফপির।
এরদোগান বলেন, ভূমিকম্পের বিধ্বংসী প্রভাব ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আমরা আদিয়ামানে প্রথম দিকে যেভাবে কাজ করতে চেয়েছিলাম, সেভাবে পারিনি। এ জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।
৬ ফেব্রুয়ারির সেই ভূমিকম্পের চার দিন পর আদিয়ামানে স্থানীয় লোকজন উদ্ধারকাজে সরকারের গাফিলতির অভিযোগ করে বিক্ষোভ করেছিলেন।
এদিকে ফের ৫ দশমিক ৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে তুরস্কে। এতে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
সোমবার দুপুরে দেশটির মালাতইয়া প্রদেশে এটি আঘাত করে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি ভবন ধসে পড়েছে।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল মালাতইয়া প্রদেশের ইয়েসিলার্ত শহরে। গত ৬ ফেব্রুয়ারি তুরস্ক ও সিরিয়ার যে ১০টি প্রদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল মালাতইয়া তার মধ্যে একটি।
ইয়েসিলার্ত শহরের মেয়র মেহমেত জানিয়েছেন, ৬ ফেব্রুয়ারির শক্তিশালী ভূমিকম্পে শহরটির কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এর আগে শনিবারও দেশটির মধ্যাঞ্চলে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
তুরস্কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ এএফএডি জানিয়েছে, গত ৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে দেশটির প্রায় ৪৫ হাজার ও সিরিয়ার ৫ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ভবন।