মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০৯:৪৮ অপরাহ্ন

সংবিধান নিয়ে তো আপনারা তামাশা করছেন: নজরুল ইসলাম খান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৬ বার পঠিত
সরকার সংবিধান নিয়ে তামাশা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে এই মন্তব্য করেন তিনি।আরো পড়ুন: বড় দুই দলের রাজনৈতিক অবস্থান বিপজ্জনক: সিইসি

নজরুল ইসলাম সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘কী শুরু করেছেন আপনারা? সংবিধানের কথা বলেন। আরে সংবিধান নিয়ে তো আপনারা তামাশা করছেন। আপনারা সংবিধানে লিখে রেখেছেন সমাজতন্ত্র কায়েম করবেন, আর চর্চা করেন মুক্তবাজার অর্থনীতি। এই দুইটা কি একসঙ্গে যায়? বইতে লিখে রাখবেন রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। আবার বলবেন আপনারা ধর্মনিরপেক্ষ। এটা কী হয়?

তিনি আরো বলেন, ‘আপনারা যে সংবিধান নিয়ে রঙ-তামাশা করেন, এই সংবিধানের দোহাই দিয়ে জনগণের আন্দোলন প্রতিহত করতে চান। অসম্ভব। পারবেন না। কেউ পারে নাই। আপনারাও পারবেন না। ইনশাআল্লাহ আগামী দিনে আমরা এগিয়ে যাব।’সরকার যেসব সংবাদপত্র-টিভি চ্যানেল ‘অন্যায়ভাবে বন্ধ করছে’, ক্ষমতার পরিবর্তনের পর তা খুলে দেওয়া হবে বলে অঙ্গীকার করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘যারা টিভি চ্যানেলে বসে বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া উল্টাপাল্টা সব প্রচারণা চালাচ্ছেন কিংবা সরকারের পক্ষে নির্লজ্জ দালালি করছেন, তা সৎ সাংবাদিকতার স্বার্থে বন্ধ করা উচিত।

‘মানুষ এখন ভয় পায় না’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে যে দেশটা আমরা অর্জন করেছি, সেই দেশটা ওরা শেষ করে ফেলবে। আর আমরা বসে থাকব- এটা হতে পারে না। আজ সারা দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, গ্রামে-গঞ্জে সাধারণ মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। মানুষ আগে ভয় পেত, এখন আর ভয় পায় না।’তিনি আরো বলেন, ‘বাসের মধ্যে মন্ত্রী সাহেবরা গিয়ে বসেন একদিন খলিফা হারুনুর রশীদের মতো ছদ্মবেশ নিয়ে, শোনেন বাসের মধ্যে লোকেরা আপনাদের সম্পর্কে কী কথা বলে। আল্লাহর কসম! একটা-দুইটা স্টপেজের বেশি থাকতে পারবেন না বাসে। অসুস্থ হয়ে নেমে এসে পড়বেন। বলবেন, আল্লাহ বাঁচাও। যান, বসেন কোনো গ্রামের চায়ের স্টলে, সেখানে কী বলে আপনাদের সম্পর্কে লোকজন, শোনেন। কিন্তু শুনবেন না আপনারা এসব।

এই অবস্থার পরিবর্তন আন্দোলনেই হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন নজরুল ইসলাম খান।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ বন্ধ এবং দৈনিক দিনকালসহ বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়া, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সব কালাকানুন বাতিলের দাবিতে এই পেশাজীবী সমাবেশ হয়।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে দৈনিক দিনকালের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, পেশাজীবী নেতা অধ্যাপক সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার, এম এ আজিজ, অধ্যাপক লুতফর রহমান, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম কাগজী, রাশেদুল হক প্রমুখ বক্তব্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..