আহসান হাবীব নোবেল নামের এক ব্যক্তি গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এভাবেই নিজের কথা লিখেছেন। তিনি মেট্রো রেলের নিয়মিত যাত্রী। গত এক মাসে তিনি ৩০ থেকে ৪০ বার উত্তরা থেকে মেট্রোতে ভ্রমণ করেছেন। তিনি লেখেন, ‘মেট্রোতে ভ্রমণের কারণে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে, এ যেন দিন দিন হিতে বিপরীত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে কোনো দিনও মেট্রো ঠিকমতো চলতে পারবে না।’
গতকাল অবশ্য ঘুড়ি এমন জায়গায় আটকায় যাতে একটি লাইনেও ট্রেন চলতে পারছিল না। ফলে মেট্রোর পুরো বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঘুড়ি অপসারণ করা হয়। এই সময় প্রায় এক ঘণ্টা মেট্রোর চলাচল বন্ধ ছিল।
ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-৬-এর উপপ্রকল্প পরিচালক (জনসংযোগ) নাজমুল ইসলাম ভূঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) ঘুড়ি আটকে যাওয়ার ঘটনায় ওই দিন সন্ধ্যা থেকে মাইকিং করা হয়েছে। আগারগাঁও থেকে পল্লবী পর্যন্ত মাইকিং করা হয়। আজ (গতকাল) পল্লবীতে ঘুড়ি পড়ল। আসলে মানুষের সচেতন হওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
কখন আটকাল ঘুড়ি?: গত রবিবার সকাল থেকেই এক পথে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু সোমবার ট্রেন চলাচল বন্ধ হয় সাড়ে ৯টার কাছাকাছি সময়। এতে বোঝা যায়, ট্রেন চলাচল শুরুর পর ঘুড়িটি এসে আটকায়।
মেট্রো রেলের কাজ করার ধরন অনুযায়ী, যাত্রী পরিবহন শুরুর আগে প্রতিদিন সকাল ৭টায় একটি খালি ট্রেন ধীরে চালিয়ে সব কিছু পরীক্ষা করে দেখা হয়। এটিকে বলা হয়, সুইপ ট্রেন। গতকাল সুইপ ট্রেনে ঘুড়ি ধরা পড়েনি।
আরো পড়ুন: শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী