রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন

শেখ হাসিনা হলে নবীন এক ছাত্রীকে নির্যাতনে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৮ বার পঠিত
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নবীন এক ছাত্রীকে নির্যাতনে অভিযুক্তদের একজন পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্রী ও ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। আরেকজন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ছাত্রী তাবাসসুম ইসলাম। আদালতের নির্দেশে তাঁরা তদন্ত চলাকালে ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছেন। তবে তদন্ত কমিটির তলবে তাঁরা দুজন গতকাল সোমবার সকাল ১০টার দিকে ক্যাম্পাসে আসেন। এ সময় দুজনই মাস্ক পরে মুখ ঢেকে রাখেন। এর পাশাপাশি তাবাসসুম এসেছিলেন হিজাব পরে।আরো পড়ুন: মাফ চাইলেন পূজা চেরী

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা তদন্ত কমিটির প্রধান আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক রেবা মণ্ডলের কার্যালয়ে একেকজনকে দুই ঘণ্টা করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রথমে যান সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। তিনি বের হন দুপুর ১২টার দিকে। এরপর ডাকা হয় তাবাসসুম ইসলামকে। তিনি বের হন দুপুর ২টার দিকে।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটির সদস্যরা অভিযুক্ত দুই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এর আগে ভুক্তভোগীর দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে অভিযুক্ত দুজনের বক্তব্য মিলিয়ে দেখা হয়।তদন্ত কমিটির কাছে বক্তব্য উপস্থাপনের পর বের হলে অন্তরা ও তাবাসসুমকে সাংবাদিকরা কী কী বিষয়ে কথা হয়েছে জানতে চান। জবাবে অভিযুক্ত সানজিদা চৌধুরী অন্তরা বলেন, ‘আমার কাছ থেকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। আমার স্বাক্ষরিত চার পৃষ্ঠার একটি লিখিত বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না। তদন্ত হচ্ছে, আপনারা সব কিছু জানতে পারবেন।’

আরেক অভিযুক্ত তাবাসসুম ইসলাম বলেন, ‘আমি যা বলার তদন্ত কমিটির কাছে বলেছি। আপনাদের কোনো কিছু বলব না।

ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ছাত্রলীগ ও জেলা প্রশাসন থেকে মোট চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সব কমিটিই তাদের কাজ শুরু করেছে।অভিযুক্ত দুই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক রেবা মণ্ডল বলেন, ‘তদন্তে কী পেলাম সেটা জনসমক্ষে বলা যাবে না। কারণ তদন্ত কমিটির কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য এটি বাইরে প্রকাশ করার বিধান নেই। তবে অনেকখানি অগ্রগতি হয়েছে। কে অভিযুক্ত এটা এখন বলতে পারব না।’

ভুক্তভোগীর বক্তব্য শুনল জেলা প্রশাসকের করা তদন্ত কমিটি : এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম গত রবিবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম আবুজর গিফারীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির অন্যরা হলেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহাবুব আলম। এই কমিটিও গতকাল তাদের কাজ শুরু করেছে।

প্রথম দিনে এই কমিটিও গতকাল ক্যাম্পাসে এসে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বক্তব্য শুনেছে। এ জন্য বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাঁর বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে আসেন। কমিটির কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে সন্ধ্যার পর তিনি আবার বাড়ি চলে যান।

এর আগে এই কমিটি গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে।

আরো পড়ুন: নেটফ্লিক্স বিনা মূল্যে দেখার উপায়

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..