ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, ছাত্রলীগ ও জেলা প্রশাসন থেকে মোট চারটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সব কমিটিই তাদের কাজ শুরু করেছে।অভিযুক্ত দুই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির প্রধান অধ্যাপক রেবা মণ্ডল বলেন, ‘তদন্তে কী পেলাম সেটা জনসমক্ষে বলা যাবে না। কারণ তদন্ত কমিটির কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য এটি বাইরে প্রকাশ করার বিধান নেই। তবে অনেকখানি অগ্রগতি হয়েছে। কে অভিযুক্ত এটা এখন বলতে পারব না।’
ভুক্তভোগীর বক্তব্য শুনল জেলা প্রশাসকের করা তদন্ত কমিটি : এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম গত রবিবার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম আবুজর গিফারীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির অন্যরা হলেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহাবুব আলম। এই কমিটিও গতকাল তাদের কাজ শুরু করেছে।
প্রথম দিনে এই কমিটিও গতকাল ক্যাম্পাসে এসে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বক্তব্য শুনেছে। এ জন্য বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তাঁর বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে আসেন। কমিটির কাছে নিজের বক্তব্য তুলে ধরে সন্ধ্যার পর তিনি আবার বাড়ি চলে যান।
এর আগে এই কমিটি গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করে।
আরো পড়ুন: নেটফ্লিক্স বিনা মূল্যে দেখার উপায়