জয়পুরহাটের কালাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে এসিআই সীডের- ভ্যালেনসিয়া, এসিআই আলু-১৪, ও কাটাজেনাসহ ১৩টি জাতের আলুর জাত নির্বাচন ও মাঠ দিবস।
আরো পড়ুন: আফগানদের সিরিজ জয় (২-১)
সোমবার দুপুরে উপজেলার পুনট-শিকটা ফসলি মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এসিআই সীডের সেলস ম্যানেজার ইকবাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কালাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অরুণ চন্দ্র রায়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন, অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) শহীদুল ইসলাম, সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আব্দুল করিম, এসিআই বীজ আলুর পোর্ট ফলিও ম্যানেজার গোলাম মোস্তফা, এরিয়া সেলস্ এক্সিকিউটিভ বগুড়া অঞ্চল মোহাম্মদ নুরুন্নবী প্রমুখ।
বক্তরা বলেন,’এসিআই সীডের আলু বীজ অন্যান্য আলু অপেক্ষা ২৫-৩০ দিন আগে বাজারে আসে তাই বাজারমূল্য বেশী। এছাড়া এসিআই-১৪, কাটাজেনা ও ভ্যালেনসিয়া জাতের আলু হেক্টর প্রতি ফলন প্রায় ৪৩ মেট্রিক টন যা বাংলাদেশের অন্যান্য জাতের আলুর চেয়ে ৩৮ গুণ বেশী। প্রতিটি আলুর গড় ওজন প্রায় ১০০ গ্রাম।’
পুনট-শিকটা গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান জানান, তিনি প্রতি বছর অন্যান্য জাতের আলুর চাষ করতেন। সেখানে প্রতি বিঘায় উৎপাদন হতো ৭০ থেকে ৮০ মণ। আর খরচ হতো প্রায় ৩২ হাজার টাকা। এইবার প্রথম এক বিঘা জমিতে তিনি এসিআই সীডের ভ্যালেনসিয়া জাতের আলু চাষ করেছেন। প্রতি বিঘায় খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। এক বিঘাতে আলুর ফলন হয়েছের ১৪৫ মণ। রোগবালাই ও খরচ কম হওয়ায় এবার লাভ হবে বেশি।
এসিআই সীডের বীজ আলুর পোর্টফোলিও ম্যানেজার কৃষিবিদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘জয়পুরহাটে প্রতিবছর স্ক্যাব সহ অন্যান্য রোগের প্রাদুর্ভাবে কৃষকদের আলু চাষে লোকসান গুনতে হয়। এসিআই-১৪, কাটাজেনা ও ভ্যালেনসিয়া জাতের আলুতে রোগবালাই এবং খরচ কম। কম সময়ে ফসল ঘরে তোলা যায় ফলনও ভালো হয়।
আরো পড়ুন:গুলশানের বহুতল ভবনে আগুনের পর বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে