বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন

নেত্রকোনা-২ আসনে সংসদ নির্বাচনে আ’লীগ-বিএনপির মর্যাদার লড়াই

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৪ বার পঠিত

নেত্রকোনা সদর ও বারহাট্রা উপজেলা নিয়ে গঠিত নেত্রকোনা-২ আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইছে। জেলা সদর কেন্দ্রিক এ আসনটি সকল রাজনৈতিক দলের কাছে সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন। জেলা থেকেই সকল রাজনৈতিক কর্মসূচীর সূচনা হয়। জেলার ৫টি আসনের মধ্যে এ আসনটি আওয়ামীলীগ-বিএনপি উভয়ের কাছে গুরুত্বপূর্ন। গত ২৯ নভেম্বর জেলা শহরের মোক্তারপাড়া মাঠে আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকলের কাছে নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়েছেন। এ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় দুই রাজনৈতিক দলের কে পাবেন মনোনয়ন এনিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।

আরো পড়ুন:শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি ভারতের পূর্ণ সমর্থন আছে: বিনয় খাতরা

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার গুরুত্বপূর্ন নেত্রকোনা-২ আসনে আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন জেলা আ’লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু এমপি, জেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক-১ পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম খান, জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. শামছুর রহমান ভিপি লিটন, সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, জেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান প্রশান্ত কুমার রায়, কেন্দ্রীয় আ’লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রানা তাজউদ্দিন খান, জেলা আ’লীগের সাবেক সহ-সভাপতি লে. কর্নেল (অবঃ) আবদূন নুর খান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ সারোয়ার মোর্শেদ আকন্দ জাস্ট্রিস। বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যার্শীরা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ উদ্দিন খান, জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. মো. আনোয়ারুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. আরিফা জেসমিন নাহীন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী ড্যানী, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন টিটো।

আ’লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা আ’লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু এমপি বিগত নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-২, সদর-বারহাট্রা আসনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর তিনি প্রথমে মৎস্য ও প্রানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং পরবর্তীতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ২০০৪ সাল থেকে গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মনোনয়ন প্রত্যার্শী জেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক-১ তিনবারের নেত্রকোনা পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম খান মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক গণপরিষদ সদস্য মরহুম আব্বাছ আলী খানের সুযোগ্য সন্তান। নজরুল ইসলাম খান ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। তিনি ১৯৭২ সালে নেত্রকোনা মহকুমা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৭৪ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক, ১৯৭৫ সালে সামরিক শাসনামলে গ্রেপ্তার এবং নির্যাতনের শিকার হন। তিনি ১৯৭৯ সালে জেলা আ’লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ২০০৪ সাল থেকে গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত তিনি জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক-১ হিসেবে সাংগঠনিক কর্মসূচী বাস্তবায়নে নেতৃত্বের অগ্রভাবে রয়েছেন। পৌরসভার উন্নয়নের রূপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান সর্বশেষ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আ’লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিরোধ যোদ্ধা অসিত কুমার সরকার সজলের নির্বাচন পরিচালনায় একজন দক্ষ সমন্বয়কের ভুমিকা পালন করেন।

সম্ভাব্য প্রার্থী জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট মো. শামছুর রহমান লিটন। তিনি সারা জেলায় দলীয় নেতা কর্মীদের মাঝে ভিপি লিটন নামে পরিচিত। তিনি ১৯৯২ সালে নেত্রকোনা সরকারি বিশ^বিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদের পাঠাগার সম্পাদক, ১৯৯৩-৯৪ শিক্ষাবর্ষে বিপুল ভোটে কলেজবার্ষিকী সম্পাদক এবং ১৯৯৬-৯৭ সালে কলেজ ছাত্র সংসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) নির্বাচিত হয়ে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে জেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক পরবর্তীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যানির্বাহী কমিটির (লিয়াকত-বাবু) সদস্য, বাংলাদেশ আাওয়ামীলীগ উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এবং ২০১৬ সাল থেকে জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গত ২৯ নভেম্বর তিনি জেলা আ’লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।

আরো পড়ুন:ভারতে সরকার জানে না সে দেশের জনসংখ্যা কত

এ আসনে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর এলাকায় ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। তিনিই স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে নেত্রকোনা সদর আসনের সর্বপ্রথম যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী। আরিফ খান জয় এমপির সময়ে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা শহরের সাতপাই ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ, ৩১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে আইসিটি পার্ক অনুমোদন, নেত্রকোনায় শেখ হাসিনা বিশ^ বিদ্যালয় অনুমোদন, মেডিকেল কলেজ অনুমোদন, কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র নির্মাণ, মগড়া সেতু নির্মাণসহ অসংখ্য উন্নয়ন কাজের বাস্তবায়ন করেছেন। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আরিফ খান জয়ের পক্ষে সদর ও বারহাট্রা উপজেলায় প্রচার-প্রচারনা অব্যাহত রয়েছে। আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যার্শী জেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক প্রশান্ত কুমার রায় ১৯৮২ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। তিনি ১৯৮৫ থেকে ৮৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক, ১৯৮৯ থেকে ৯১ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক, ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, ২০০৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং পরবর্তীতে জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সাবেক ছাত্রনেতা প্রশান্ত কুমার রায় ১৯৮৯ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কারাবরণ, ১৯৯১ সালে রাজপথে সক্রিয় নেতৃর্ত্বের কারনে কারাবরণ, ২০০১ সালে তত্তাবধায়ক সরকারের শাসনামলে দলীয় মিছিলে পুলিশের হামলা এবং ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাবরণ করেন। ২০০৩ সালে চারদলীয় সরকারের সময়ে ময়মনসিংহ সিনেমা হলে বোমা হামলার মিথ্যা অভিযোগে প্রিন্সিপাল মতিউর রহমান, সাবের হোসেন চৌধুরী, প্রফেসর মুনতাসির মামুন এবং সাংবাদিক শাহরিয়ার কবিরের সাথে এক বছর ফাঁসির সেলে প্রশান্ত কুমার রায় অবরুদ্ধ ছিলেন। ২০০৭ সালে ১/১১ চলাকালীন নেত্রী গ্রেপ্তারের পরবর্তী সময়ে নেত্রকোনায় নেত্রীর মুক্তির আন্দোলনের মিটিং মিছিলে তিনি অগ্রনী ভুমিকা রেখেছেন। আওয়ামীলীগ নেতা প্রশান্ত কুমার রায় ২০১১ সালে নেত্রকোনা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৭ সালে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জেলার সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেছেন।

আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় আ’লীগের আইন বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রানা তাজউদ্দিন খান এলাকায় বেশ পরিছন্ন ইমেজের অধিকারী। তিনি অসহায় মানুষকে ব্যক্তিগতভাবে দীর্ঘদিন ধরে সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন।

এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক, সাবেক সভাপতি, সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ উদ্দিন খান নেত্রকোনা মহকুমা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রখম সভাপতি ও পরে ইউনিট কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্বাধীনতার পূর্বে নেত্রকোনা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদে ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক পদে সর্বোচ্চ ভোটে নির্বাচিত হন। পরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জেড ফোর্সের সদস্য হিসেবে এফএফ প্রশিক্ষন গ্রহন করে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের আমলে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৮১ সালে নেত্রকোনায় প্রথম জেলা পরিষদে উপ-মন্ত্রীর পদমর্যাদায় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৭ সালে নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সভাপতি, ২০০৯ সালে জেলা বিএনপির আহবায়ক এবং ২০১৪ সালের ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় জেলা বিএনপির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি পদে ১৫২৫ ভোটের মধ্যে ১১৬৮ ভোট পেয়ে পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালের বাতিল হওয়া জাতীয় সংসদ এবং ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারদলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ উদ্দিন খান প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন। জেলা বিএনপির দুঃসময়ে শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শের একজন পরীক্ষিত সৈনিকের ভুমিকা রেখেছেন তিনি। এজন্য তাকে নেত্রকোনার রাজপথে মাথার রক্ত ঝরাতে হয়েছে। সদর ও বারহাট্রা উপজেলার সর্বমহলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ উদ্দিন খানের পরিছন্ন ইমেজ রয়েছে।

এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হক ২০১৪ সালে কাউন্সিলরদের ভোটে জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সম্মানিত সদস্য, সহ-সভাপতি ডক্টর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) নিটোর, সাবেক সহ-সভাপতি ড্যাব ময়মনসিংহ মেডিকেল শাখা, সাবেক সমাজকল্যান সম্পাদক ডক্টর এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) নিটোর, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের সাবেক জেলা সমন্বয়ক, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০১১ সালে আওয়ামীলীগ সরকারের রোষানলে পড়ে সরকারি চাকুরী থেকে অব্যাহতি নিয়ে জেলা বিএনপির রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হন। জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক ডা. মো. আনোয়ারুল হকের বিরুদ্ধে নেত্রকোনা মডেল থানায় ৯টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১৫ সালের জানুয়ারীতে তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে আন্দোলনে নেতৃর্ত্বের কারনে ডা. আনোয়ারুল হককে প্রধান আসামীকে করে বিস্ফোরক আইনে মামলা, ২০১৮ সালে বেগম খালেদা জিয়াকে সাজার প্রতিবাদে আন্দোলন চলাকালে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলার প্রধান আসামীসহ আরো ৭টি মামলায় প্রধান আসামী জেলা বিএনপির আহবায়ক ডা. মো. আনোয়ারুল হক। তিনি বিগত ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৩ সালের উপ-নির্বাচনে সাবেক এমপি মরহুম আবু আব্বাছের নির্বাচন পরিচালনায় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। বিগত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তিনি এ আসনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছেন।

এ আসনে বিএনপির একক নারী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. আরিফা জেসমিন নাহীন। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক, সাবেক সহ-সভাপতি, সুপ্রিম কোর্ট আাইনজীবী ফোরামের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট, কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাবেক মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক, জেলা মহিলা দলের সাবেক আহবায়ক হিসেবে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছেন। ২০১০ সালের ১লা ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পর নাহীনকে পুলিশ গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে। ওই সময়ে তিনি মাথায় ও চোখে আঘাতপ্রাপ্ত হন। এছাড়াও ২০১১ সালের ১৪ জানুয়ারী ৩৬ ঘন্টা হরতাল চলাকালে, ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর মার্চ ফর ডেমোক্রেসি প্রোগ্রামে, ২০১৫ সালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের সামনে থেকে ড. আরিফা জেসমিন নাহীনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তিনি বিগত দুইটি জাতীয় সংসদ নির্বাচর্নের পূর্বে সদর আসনটিতে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরি করেছিলেন। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ডা. মো. দেলোয়ার হোসেন টিটো বারহাট্রা উপজেলার কৃতিসন্তান। তিনি সব সময় অসহায় রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসাসেবা প্রদান করছেন। তিনি বিগত নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন।

এ আসনে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মান্নান খান আরজু আলোচনায় রয়েছেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামীলীগ-বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যার্শী প্রার্থীরা তৃনমূলের নেতাকর্মী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড পর্যন্ত জোর লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরো পড়ুন:যেসব দেশ ঝুঁকিতে, নিরাপত্তা পরিষদকে জানাল জাতিসংঘ

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..