আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধান এবং নির্বাচনি ব্যবস্থা ব্যক্তিবিশেষের খেয়ালখুশিমতো চলে না। শেখ হাসিনা এবং তার নেতৃত্বে পরিচালিত আওয়ামী লীগ টেকসই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় এবং সংবিধানের আলোকে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পন্থা নির্ধারণে স্থায়ী সমাধান করেছেন। বিভিন্ন গণতান্ত্রিক দেশের পন্থা অনুসরণ করেই নির্বাচনি ব্যবস্থা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেটা দেশের সংবিধান অনুযায়ী হয়েছে এবং এই সাংবিধানিক বিধি মেনেই দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে ওবায়দুল কাদের বিভ্রান্তিকর ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যায়িত করেন। ওই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে ৫০ বছরের মধ্যে ৩০ বছর রাষ্ট্র পরিচালিত হয়েছে অসাংবিধানিক ও অনির্বাচিত স্বৈরতান্ত্রিক সরকার দ্বারা। তাদের উত্তরাধিকার বিএনপি ও জাতীয় পার্টি। এ কারণে ৫০ বছরের অর্ধেকেরও বেশি সময় বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচনি ব্যবস্থা টেকসইভাবে বিকশিত হয়নি। বরং বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমান ও এইচএম এরশাদ নিজেদের স্বার্থে দখল করা ক্ষমতাকে সাংবিধানিক বৈধতা দেওয়ার জন্য সংবিধান সংশোধন করেছিলেন। সংবিধানের সেসব সংশোধনী দেশের উচ্চ আদালত অবৈধ ঘোষণা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন সেই জায়গায় যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। এখন সংবিধানবিরোধী বক্তব্য যারা দিচ্ছেন, তারা একটি অগণতান্ত্রিক এবং অনির্বাচিত সরকার ব্যবস্থা দেখতে চান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, অনির্বাচিত ও অগণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায় বলেই বিএনপি নেতারা নির্বাচনি ব্যবস্থা এবং সংবিধান নিয়ে তাদের অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক ও বেআইনি বক্তব্য দিচ্ছেন, আর জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সব সময় একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন ব্যবস্থা প্রত্যাশা করে। তিনি (শেখ হাসিনা) সর্বদা নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণকে স্বাগত জানিয়ে আসছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কখনো ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায় না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ চায় দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং তাদের জনপ্রিয়তা যাচাই করুক, পাশাপাশি ভোটের রায় গ্রহণ করার মানসিকতা গড়ে তুলুক। তিনি আরও বলেন, ভোটের রায় পক্ষে না গেলে নির্বাচনি ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার মানসিকতা পরিহার করতে হবে। বিএনপি তো হেরে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না, আর করলেও তারা নির্বাচনি ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে অংশগ্রহণ করে। তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিবের উদ্দেশ্য যদি এমন হয় তাহলে তো কখনোই গণতন্ত্র টেকসই হবে না।

আরও পড়ুন: চুন্নুর প্রত্যাখ্যান