মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৬:০৩ অপরাহ্ন

থেমে থাকা গাড়ির যাত্রীরা টার্গেট ছিনতায় চক্রের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ১৭ বার পঠিত

ঢাকার ব্যস্ততম সড়কে প্রায়ই যানজট লাগে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র থেমে থাকা গাড়ির যাত্রীদের টার্গেট করে ছোঁ মেরে হাতিয়ে নিচ্ছে মোবাইল, ব্যাগসহ মূল্যবান জিনিসপত্র। এরপর তারা দৌড়ে নিমিষেই হাওয়া হয়ে যায়। চক্রটি এসব মোবাইল ফোন সার্ভিসিং সেন্টার নামে গড়ে ওঠা দোকানে বিক্রি করতো। চক্রটি পুরো ঢাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এই চক্রের ১৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

আরও পড়ুনঃ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে দেশটির শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

এই ঘটনায় গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন- মিজান (৩৮), আমিরুল ইসলাম বাবু, শরিফ হোসন (২৩), হৃদয় (২১),  রাজ (২০), সুমন (৩২), সোহেল বাবু (২৬), হৃদয় (২২), মনিরুজ্জামান (৪০), নাজমুল (২৬), মনির (৪০), ইমরান (২০), ফারুক (২৮), আশরাফুল ইসলাম সজিব (৩১), আরিফ (১৪) ও হাসান (২০)। এসময় সময় তাদের একটি সাদা-কালো নাম্বারবিহীন হিরো ট্রিলার-১৬০ আর মোটরসাইকেল, ৫০টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোবাইল সেট, চারটি চাকু, দুই জোড়া স্বর্ণের দুল এবং নগদ সাড়ে ২৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এর আগে তাদের রাজধানীর উত্তরখান এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।

হারুন জানান, অভিযানে ছোঁ মারা পার্টির দলনেতা ও চোরাই মাল ক্রয়-বিক্রয়কারী চক্রের সক্রিয় ১৬ জন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রের কয়েকজন সদস্য বাস, প্রাইভেটকার ও সিএনজির যাত্রীদের কাছ থেকে থাবা ও ছোঁ মেরে মোবাইল ফোন, ব্যাগসহ মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেয় এবং বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় দেশীয় অস্ত্রের (চাকুর) ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে। তারা ছিনতাই করা মোবাইল ফোনগুলো উত্তরখানের বিসমিল্লাহ মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টার নামের একটি দোকানে বিক্রি করতো।

ডিএমপির ডিবিপ্রধান জানান, তারা পরস্পরের যোগসাজসে ঢাকা মহানগরীর মহাখালী, আমতলী, কাকলী, বনানী, ঢাকা গেইট, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর, উত্তরা, জসিম উদ্দিন, আব্দুল্লাহপুর এবং টঙ্গী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছিনতাই করতো। মিজান, জয়-বাবু ও শরীফের নেতৃত্বে তারা বাস, প্রাইভেটকার ও সিএনজির যাত্রীদের কাছ থেকে থাবা ও ছোঁ মেরে মোবাইল ফোন, ব্যাগ ও গলার চেইনসহ মূল্যবান মালামাল কেড়ে নিয়ে চোরাইমাল ক্রয়-বিক্রয়কারী সুমন, ফারুক ও আশরাফুল ইসলাম সজিবের কাছে উত্তরখানের দোবাদিয়া সাইনবোর্ড বিসমিল্লাহ মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারে বিক্রি করে আসছিল। তাদের নামে উত্তরখান থানায় একটি মামলা হয়েছ।

আরও পড়ুনঃ ১ ফেব্রুয়ারি থেকেই তরুণদের মধ্যে কনডম বিলির প্রক্রিয়া শুরু করেছে থাইল্যান্ড

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..