দলীয় সূত্র জানায়, ৪ ফেব্রুয়ারি বিভাগীয় সমাবেশ হবে। এই সমাবেশের জন্য নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে অনুমতি চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করলেও সেখানে সাত দিনব্যাপী বিভাগীয় এসএমই মেলা হওয়ায় বিকল্প হিসেবে বরিশাল জিলা স্কুল মাঠে সমাবেশের অনুমতি পেয়েছে দলটি। বিএনপির নেতা-কর্মীদের মুক্তি; গ্যাস, বিদ্যুৎ, নিত্যপণ্যের দাম কমানোসহ ১০ দফা দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় মহানগর বিএনপির আয়োজনে নগরের সদর রোডের মহানগর ও জেলা বিএনপি কার্যলয় থেকে গণসংযোগ শুরু করেন মহানগরের নেতারা। এ সময় তাঁরা সদর রোড, চকবাজার, দক্ষিণ চকবাজার, গির্জা মহল্লা, কাঠপট্টি, জেলখানা মোড়সহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক কাজী রওনোকুল ইসলাম, বরিশাল মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান, সদস্যসচিব মীর জাহিদুল কবির, মহানগর বিএনপির সদস্য আলী হায়দার, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ্ আমিনুল ইসলাম, মহানগর সদস্য জাহিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মসিউর রহমান, সদস্যসচিব খান মো. আনোয়ারসহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
গণসংযোগ কর্মসূচি চলাকালে মহানগর আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান বলেন, ‘৪ ফেব্রুয়ারির বিভাগীয় সমাবেশ যেকোনো মূল্যে সফল করতে আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি। আওয়ামী লীগ আগের মতোই নানা ধরনের ষড়যন্ত্র ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। কিন্তু তা করে বিগত দিনে যেমন সফল হয়নি, এবারও হবে না।’
৪ ফেব্রুয়ারির বিভাগীয় সমাবেশ সফর করতে বরিশাল নগরের ৩০ ওয়ার্ডেও চলছে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম। এসব ওয়ার্ডে নেতা–কর্মীরা সমাবেশে বিপুল জনসমাগম নিশ্চিত করতে প্রতিদিন প্রস্তুতি সভা করছেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ারের বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
সমাবেশ সফল করার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, দেশবাসী ১০ দফা দাবিতে আজ ঐক্যবদ্ধ। তাই ৪ ফেব্রুয়ারির সমাবেশে মানুষ নিজেদের তাগিদেই যোগ দেবেন। এ ছাড়া আমরা এরই মধ্যে বিভাগের সাতটি সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর এবং প্রতিটি উপজেলায় প্রস্তুতি সভা করেছি। এতে বিভাগজুড়ে বেশ সাড়া পড়েছে।’
সমাবেশে বাধা দেওয়ার আশঙ্কা করছেন কি না, এমন প্রশ্নে এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাধা দেবে, এটা ধরেই আমরা মাঠে নেমেছি। গত ৪ নভেম্বর বরিশালের বিভাগীয় সমাবেশেও বাধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা জনস্রোত রোধ করতে পারেনি, এবারও পারবে না।