আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্র, আন্দোলনের নামে সংহিসতার সমুচিত জবাব ও সাম্প্রদায়িকতার উত্থান রুখে দিতে প্রস্তুত আওয়ামী লীগ। একটি আদর্শ রাষ্ট্র গঠন করাই আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার।
আরও পড়ুন:ইয়াবা বিক্রির সময় স্ত্রীসহ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
আজ মঙ্গলবার সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করি। কিন্তু এই বিজয় পূর্ণতা পায়নি যতক্ষণ না পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি বিজয়ের মহানায়ক শেখ মুজিব মুক্তি পান। তার অনুপস্থিতিতে বিজয় ছিল অসম্পূর্ণ। সেই অসম্পূর্ণ বিজয় পূর্ণতা পেয়েছিল আজকের ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে।’
তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন একটি আদর্শ রাষ্ট্র। সেই আদর্শ রাষ্ট্র আমাদের অঙ্গীকার। সেই আদর্শ রাষ্ট্র আমরা প্রতিষ্ঠা করব। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণ করব। আজকের এই দিনে আমাদের শপথ আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বির্নিমাণে ২০৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, তথা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার।’
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর বিশ্ব জনমতের চাপে ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তান সরকার। দীর্ঘ সাড়ে ৯ মাস পাকিস্তানের কারাগারে বন্দি থাকার পর লন্ডন ও নয়াদিল্লি হয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
লাখো জনতা সেদিন তাকে তেজগাঁও বিমানবন্দর থেকে খোলা ট্রাকে করে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) নিয়ে যান। সেখানে সদ্য স্বাধীন জাতির উদ্দেশে প্রায় ২০ মিনিটের আবেগঘন ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু। এরপর থেকে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে দিনটি পালন করে আসছে জাতি।
আরও পড়ুন:আইজিপির মেয়াদ বাড়লো আরও দেড় বছর