মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন
বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা নিয়ে বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সব সময় যেরকম থাকে এবারও তা থাকবে। তার সঙ্গে এবারে সাইবার নিরাপত্তা যুক্ত করার প্রসঙ্গ টেনে আরও মন্ত্রী বলেন, সাইবার নিরাপত্তা যে-টাকে আমরা বলি, সেই জায়গাটাতে আমরা কাজ করছি। সেইখানে যাতে কোন ঝুঁকি না থাকে আমাদের পুলিশ বাহিনী সেই জায়গাটাতেও কাভার করবে। আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী বলতে আমাদের পুলিশ, র্যাব, আনসার সবাই এখানে নিরাপত্তার কাজে যুক্ত থাকবে। প্রয়োজনে আমাদের বিজিবিও প্রস্তুত থাকবে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ প্রযুক্তি নির্ভর অর্থনীতির দেশ : প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
শুক্রবার বিকেলে টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দানে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ফলো-আপ সভার প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ওইসব কথা বলেন।
সভায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল,ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, গাজীপুর মহানগর পুলিশের কশিশনার মোল্যা নজরুল ইসরাম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, বিশ্ব ইজতেমার দুই পক্ষের মুরুব্বীসহ ইজতেমা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তর ও বিভাগের কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্ব ইজতেমায় সবাই মিলিতভাবে আমাদের সমস্ত নিরাপত্তা বাহিনী এবং সামরিকবাহিনীও সহযোগিতা করছে। এখানে প্রতিবারই সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তুরাগের উপর পল্টুন ব্রীজ নির্মাণ করে থাকে। কাজেই সবারই এখানে দৃষ্টি রয়েছে। আমি মনে করি এবারও অত্যন্ত সুন্দরভাবেই বিশ্ব ইজতেমা সম্পন্ন হবে। তিনি আরো বলেন, খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ইতোমধ্যে বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি কাজের প্রায় ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
বিশ^ইজতেমায় দুইটি গ্রুপ রয়েছে। একটি হলো জোবায়ের গ্রুপ এবং অন্যটি হলো সা’দ গ্রুপ। কোভিডের আগে দুই পক্ষই দুইবার বিশ্ব ইজতেমা পরিচালনা করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার প্রথম পর্ব ১৩-১৫ জানুয়ারি জোবায়ের গ্রুপ এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ২০-২২জানুয়ারি সা’দ গ্রুপ বিশ্ব ইজতেমায় অংশ গ্রহণ করবেন। আগেও তারা দুইপক্ষ আলাদাভাবে ইজতেমা পরিচালনা করেছেন। তাদের মধ্যে বিভেদ ও ভুল বুঝাবুঝির বিষয়ে বলতে গিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা আগেও ইজতেমা আয়োজন করেছেন, নতুন করে তাদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝি হওয়ার কিছু নেই। আমার মনে হয় তারা উভই পক্ষই সুন্দরভাবে ইজতেমাটা শেষ করবেন। বিদেশী মেহমানরা (মুসুল্লীরা) আগেও প্রতিবার যেভাবে আসতেন, যেভাবে সুযোগ সুবিধা পেতেন এবারও তা অব্যাহত থাকবে এবং সেবার পরিধি আরো বৃদ্ধি করতে ও এগুলো যাতে আরো সুন্দরভাবে পায়, দ্রুততার সঙ্গে পায় সে ব্যাপারে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।
বিদেশী মেহমানদের অবস্থান করা নিয়ে মন্ত্রী আরো বলেন, বিদেশী মেহমানদের জন্য এবারে আরেকটু সুন্দর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রথম পর্ব শেষে তারা ইজতেমাস্থল ত্যাগ করে আমাদের হাজী ক্যাম্পে অবস্থান করবে। আর দ্বিতীয় পর্বে বিদেশী মেহমান যারা আসবে তারা ইজতেমা মাঠেই অবস্থান করবে এবং ইজতেমা শেষে তারা যার যার গন্তব্যে চলে যাবে।
টঙ্গীর তুরাগ তীরে প্রথম দফায় আগামী ১৩ জানুয়ারি থেকে ১৫জানুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় দফায় ২০জানুয়ারি থেকে ২২জানুয়ারি পর্যন্ত এবারের বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতি পর্বেই শেষ দিন আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
