মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ১১:১৪ অপরাহ্ন

বিএনপির দেওয়া রূপরেখায় আ.লীগের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে: খসরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৯ বার পঠিত

বিএনপি রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ২৭ দফা রূপরেখা ঘোষণা দেওয়ার পর আওয়ামী লীগের মুখ বন্ধ হয়ে গেছে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, প্রত্যেকটি দফা একেকটি ভিন্ন চিন্তা-ভাবনা থেকে প্রণয়ন করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে রাজনৈতিক ফিলোসফি। যা খুব কম রাজনীতিবিদ করতে পারেন। সেই জায়গায় তারেক রহমান এই রূপরেখা ঘোষণা দিয়ে নিজের নেতৃত্বের যোগ্যতাকে বিশ্ব দরবারে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

আরও পড়ুনঃরাজধানীতে ছাত্রদলের সমাবেশ সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু বলেন, আজকে বিএনপির ২৭ দফা রূপরেখা বাস্তবায়ন না হলে বাংলাদেশ পরিচালনা করা সম্ভব হবে না। দেশকে গভীর গর্ত থেকে তুলে আনতে হলে ২৭ দফার বিকল্প নেই। এজন্য বিএনপি প্রতিশ্রুতি থাকা দরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন কোনদিকে যাবে তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে আছে। দেশ কোন পথে যাবে সেটা নিয়েও দ্বিধায় আছে। বিদেশিরাও উদ্বিগ্ন। কারণ বাংলাদেশ এখন ফ্যাসিস্ট হয়ে গেছে। এই গভীর পদ্ধতি থেকে দেশ কীভাবে বের হবে? সেই প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা দেওয়া হয়েছে। যার মূল উদ্যোক্তা হলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আজকে নব্বই শতাংশ রাজনীতিবিদ বক্স থেকে বেরিয়ে চিন্তার শক্তি হারিয়ে ফেলেছে। তারা বিজনেস মনে করে শুধু। কিন্তু বিশ্ব যে এগিয়ে যাচ্ছে সেটা ভাবে না। সেই জায়াগাটা উপলব্ধি করেই কিন্তু তারেক রহমান এই রূপরেখা দিয়েছেন। যেমন তার বাবা জিয়াউর রহমান সাহসী কাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে তার মা বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের সব অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। মাঝে স্বৈরাচার সরকার দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে যায়।

খসরু বলেন, আজকে বাংলাদেশকে আবারও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার গভীর সংকটে নিপতিত করেছে। যা অনেক গভীরে চলে গেছে। এখান থেকে মুক্তি পেতে হলে ২৭ দফা রূপরেখা বাস্তবায়ন করতে হবে। সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত বিএনপি তুলে ধরেছে বলে সাধারণ মানুষ বলছে। বিদেশিদের কাছে খুব বেশি গ্রহণযোগ্য হয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আজকে বাংলাদেশে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি শুরু হয়েছে। দেশের ৬৫ শতাংশ ব্যবসায়ী সংসদে বসে আছে। তারা তো কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। আজকে দেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে যাচ্ছে। এটা তো তারাই করছে। আজকে দেশের অর্থনীতি আওয়ামী অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। সুতরাং পরিবর্তন দরকার। যারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারদর্শী তারা সেখানে যাবেন। তখনই দেশের স্থিতিশীলতা আসবে।

তিনি বলেন, ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে বাঁচাতে হলে জনগণের সাথে কিছু চুক্তি বা ওয়াদা দিতে হবে। সেটাই করেছেন তারেক রহমান। যা রাজনীতিবিদরা খুব একটা করতে পারেন না। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা ঘোষণা দিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বের যোগ্যতা অনেক ওপরে স্থান পেয়েছে। যা বিদেশিরাও প্রশংসা করছেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ‘রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখা’ ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। অনুষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে ছিল বিএনপির মিডিয়া সেল।

ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খানের পরিচালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিকল্প ধারা বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রশিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুনঃরাজধানীতে ছাত্রদলের সমাবেশ সতর্ক অবস্থানে পুলিশ

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..