বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ১১:১২ পূর্বাহ্ন

বোনের জমি বিক্রির নামে টাকা গ্রহণ, মামা-ভাগ্নের উত্তেজনা

গাইবান্ধা প্রতিনিধি মো: শাকিল মিয়া
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২৩ বার পঠিত
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় আম্বিয়া বেগমের পৈতৃক জমি বিক্রির নামে টাকা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। সেই জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে বসতবাড়ি।
এমন অভিযোগ তার ভাই জহির উদ্দিনসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আম্বিয়ার ছেলে আমিনুল ইসলামের সঙ্গে জহির উদ্দিন গংদের উত্তেজনা চরমে ওঠেছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের বৈষ্ণবদাস গ্রামে গিয়ে জানা যায় ওই জমি সংক্রান্ত নানা কাহিনী। এখানে বৈষ্ণবদাস মৌজার ১৪৭৭ দাগের ১৪ শতক জমি দলিলবিহীন ক্রয়ের নামে বসতবাড়ি গড়ে তুলেছে একই গ্রামের নছিম উদ্দিনের ছেলে মোনাব্বর মিয়া।
এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ক্ষুব্ধতাও লক্ষ্য করা গেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ছান্দিয়াপুর গ্রামের আব্দুল জলিল সরকারের স্ত্রী আম্বিয়া বেগমকে বৈষ্ণবদাস গ্রামের পিতা আয়েন উদ্দিন দলিলমূলে ৩৩ শতাংশ জমি হস্তান্তর করেন। এরপর থেকে আম্বিয়ার ভাই জহির উদ্দিনসহ অন্যান্য ভাইয়েরা সেই জমি ভোগদখল করে আসছে।
এরই একপর্যায়ে আম্বিয়ার ভাইয়েরা গোপনে ১৪ শতক জমি বৈষ্ণবদাস গ্রামের নছিম উদ্দিনের ছেলে মোনাব্বর মিয়ার কাছে বিক্রির নামে টাকা গ্রহণ করে। সেই মোতাবেক বৈষ্ণবদাস মৌজার ১৪৭৭ দাগের ১৪ শতক জমিতে মোনাব্বর মিয়া বসতবাড়ি গড়ে তোলে। তবে এই জমির প্রকৃত মালিক আম্বিয়া বেগম হলেও সেটি জানতেন না মোনাব্বর।
এদিকে, পিতার কাছে প্রাপ্ত ওই ৩৩ শতক জমির মালিক আম্বিয়া বেগম তার একমাত্র ছেলে আমিনুল ইসলামকে দলিলমূলে লিখে দেয়। একারনে আমিনুল ইসলাম জমির মালিকানা স্বত্বপ্রাপ্ত হয়। এরপর জহির উদ্দিন গংদের কাছে আমিনুল ইসলাম তার জমি দখল চাইলে তারা নানা তালবাহনা করতে থাকেন।
একপর্যায়ে আমিনুল ইসলাম জানতে পারেন ১৪৭৭ দাগের ১৪ শতক জমি বিক্রির নামে মোনাব্বরের কাছে টাকা গ্রহণ করে জহির উদ্দিন গংরা। এনিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক সালিশ-বৈঠক হলেও জমির দখল প্রাপ্ত হয়নি আমিনুল ইসলাম।
ওই ১৪ শতক জমিসহ প্রাপ্ত সকল জমি উদ্ধারের চেষ্টা করলে জহির উদ্দিন গং, মোনাব্বর মিয়া এবং তার ছেলে মিজানুর রহমান ও রেজাউল কর্তৃক আমিনুল ইসলামকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে মর্মে জানা গেছে। বর্তমানে জমি সংক্রান্ত এ বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে স্থানীয়রা জানায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোনাব্বর মিয়া বলেন, আমি ওই সম্পত্তি জহির উদ্দিন গংদের কাছে ক্রয় করে বসবাস করে আসছি। কিন্তু এখানো আমাকে দলিল করে দেয়নি তারা। এ সংক্রান্ত জহির উদ্দিন বলেন, আমার বোন আম্বিয়া বেগম ওই জমি বিক্রি বাবদ মোনাব্বরের কাছে টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখন আর দলিল করে দিচ্ছে না।
এদিকে, ভুক্তভোগি আমিনুল ইসলাম বলেন, ওই জমি বিক্রি সংক্রান্ত বিষয়ে আমার মা কিছুই জানেন না। এরই মধ্যে মা স্বেচ্ছায় আমাকে ওই ৩৩ শতক জমি দলিলমূলে হস্তান্তর করেছেন
কিন্তু আমার মামা জহির উদ্দিন গং ও ভুয়া ক্রেতা মোনাব্বার সেই জমি দখল দিচ্ছে না। উল্টো হুমকি দিচ্ছে তারা। এ ব্যাপারে রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য আশাদুল ইসলাম জানান, ওই জমি সংক্রান্ত বিষয়টি নিয়ে একাধিক সালিশ-বৈঠক করা হলেও সেটি সমাধা করা সম্ভব হয়নি। আবারও বসার চেষ্টা করা হচ্ছে।  

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..