নষ্ট ইঞ্জিনের একটি কাঠের নৌকায় চেপে ৫৭ রোহিঙ্গার একটি দল ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে পৌঁছেছে। এক মাস সাগরে ভেসে থাকার পর নৌকাটি গত রোববার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের আচেহ প্রদেশে পৌঁছে। দীর্ঘদিন সাগরে থাকার কারণে তারা সবাই বেশ ক্ষুধার্ত ও দুর্বল ছিলেন। এরই মধ্যে তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃচাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনে ভোট গ্রহণ ১ ফেব্রুয়ারি:ইসি
ইন্দোনেশিয়ায় পৌঁছানো এ রোহিঙ্গারা কয়েক সপ্তাহ ধরে সাগরে ভাসমান দেড় শতাধিক শরণার্থীর অংশ কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বাংলাদেশ, মিয়ানমার না অন্য কোনো জায়গা থেকে তারা যাত্রা শুরু করেছিল, তাও জানা যায়নি। রোববার ভেসে আসাদের মধ্যে সবাই ছিল পুরুষ। ইন্দোনেশিয়া পুলিশের এক মুখপাত্র জানান, রোববার সকালে ৫৭ জনকে নিয়ে আসা একটি নৌকা আচেহ প্রদেশে পৌঁছে। তিনি বলেন, নৌকাটির ইঞ্জিন নষ্ট, বাতাস এটিকে আচেহ বাসার জেলার লাডং গ্রামের তীরে নিয়ে আসে। রোহিঙ্গারা জানান, তারা এক মাস ধরে সাগরে ভাসছিলেন। এই শরণার্থীদের আপাতত সরকারি একটি কেন্দ্রে রাখা হবে বলে এক অভিবাসন কর্মকর্তা জানান। কিছু গণমাধ্যম অবশ্য বলছে, ৫৭ জন নয়, আচেহতে পৌঁছানো নৌকায় রোহিঙ্গার সংখ্যা ৫৮।
তিন দিন আগেই জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা সমুদ্রে দুই সপ্তাহ ধরে ভেসে থাকা দেড় শতাধিক রোহিঙ্গাবোঝাই একটি ছোট মাছ ধরার নৌকাকে সহায়তা করতে আন্দামান সাগরের আশপাশের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। নৌকাটির আরোহীরা একটি স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে শিশুসহ অনেকেই মারা গেছে এবং তাদের খাদ্য ও পানি ফুরিয়ে আসছে বলেও জানিয়েছিল। নিখোঁজ ওই নৌকাটি শেষ পর্যন্ত ডুবে গেছে বলে জাতিসংঘের সংস্থাটি আশঙ্কা প্রকাশ করছে।
২০১৭ সালে সেনাবাহিনীর নির্মম নিপীড়নের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা কয়েক লাখসহ ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অবস্থান করছে। সে বছর মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে মানব পাচারকারীরা তাদের মালয়েশিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কাজ জুটিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাগরে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় প্রলুব্ধ করছে