ঠাকুরগাঁওয়ে রুহিয়ায় জমিজমা সংক্রান্ত জের ধরে শামসুল আলম (৫০) নামের এক ব্যাক্তির বসতবাড়ীতে হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় হামলাকারীরা বসত ঘরের বেড়া, রাস্তা বন্ধ করা বেড়া,টিউবওয়েল সহ সেখানে থাকা হাড়ি পাতিল বাথরুম সহ ব্যাপক ভাংচুর করে। এ ঘটনায় নারীসহ ৫ জন আহত হয়ে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শজ্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ।
আরও পড়ুনঃগোবিন্দগঞ্জে দুই ট্রাকের সংঘর্ষ নিহত ১
শনিবার (১৭ই ডিসেম্বর)সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর ইউনিয়নের কুয়াপাড়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধে শামসুল আলমের পরিবারের উপর হামলা সহ মারপিট,ঘরবাড়ি ভাংচুর, টাকা লুট নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের নুরুল হকের ছেলে মামুন ও আক্তাবার ছেলে আব্দুল আলী ছোটোর দলবলের উপরে। ঘটনার পরে শামসুল আলম বাদি হয়ে রুহিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, রুহিয়া থানাধীন কুয়াপাড়া এলাকার জমিজমা’র জের ধরে শামসুল আলমের বসতবাড়িতে হামলা চালায় বিবাদী মামুন (৩০), আব্দুল আলী ছুটু (২৮), বাবুল হুসেন (২৭), আব্দুল রউফ (৩০), রেজাউল ইসলাম (২০) সহ ১০-১২ জনের একটি দল।
এসময় হামলাকারীরা বসত ঘরের বেড়া, সীমানা দেওয়া বেড়া,টিবয়েল, টিউবওয়েলে থাকা হাড়ি পাতিল, বিদুৎতের মিটার, বাথরুমসহ ঘরের আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর এবং ঘরের আলমারিতে থাকা ৩৮ হাজার টাকা চুরি করেন হামলাকারীরা। এ ঘটনায় নারীসহ ৫ জন আহত হয়েছেন। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযোগকারি শামসুল আলম বলেন, অন্যায়ভাবে আমার বসত ঘরের বেড়া, সীমানা দেওয়া বেড়া,টিউবওয়েল , টিউবওয়েলে থাকা হাড়ি পাতিল, বিদুৎতের মিটার, বাথরুমসহ ঘরের আসবাবপত্র ব্যাপক ভাংচুর করলে আমাকে সহ আমার স্ত্রী, বোন ও ছোট ভাই বাধা দিতে গেলে তারা বেধড়ক ভাবে আমাদের মারপিট করে। মাধ্যমিক স্কুলে পড়ুয়া মেয়ে আমাদেরকে রক্ষা করতে আসলে তাকেও ভীষণ ভাবে মারপিট করে। শুধু তাই নয় ঘরের থাকা আলমারি ভেঙে আলমারিতে থাকা ৩৮ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যান তারা।কিছু উপায় খুঁজে না পেয়ে ৯৯৯ লাইনে কল করলে পুলিশ আসার সাথে সাথে মারপিট বন্ধ করেন তারা।
তিনি আরও বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে রুহিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের। অপরদিকে দিকে অভিযুক্তকারী মামুন ও আবদুল আলী (ছোটোর) কাছে জানতে চাইলে মারপিট ও ভাংচুরের কথা অস্বীকার করেন তারা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রোমান বাদশার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দু পক্ষের মারামারি ও ভাংচুরে কথা শুনছি তবে এখনো পযর্ন্ত কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি আমাকে।
এই বিষয়ে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
সোহেল রানা বলেন, শামসুল আলম বাদী হয়ে (১৯-১২-২২) ইং তারিখে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যাহার মামলা নং ৫।
থানায় মামলা রুজু হয়েছে আসামি ধরার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে ।