ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মোছাব্বির কোথায় তা জানতে চায় বিএনপি।
আরও পড়ুনঃখালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স অভিযোগ করেন, গত ৮ ডিসেম্বর সকালে রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে গুরুতর আহত তার এক সহযোদ্ধাকে রক্ত দিতে যান। তখন হাসপাতাল থেকে সাদাপোশাকের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোছাব্বিরকে তুলে নিয়ে যায়। আজ পর্যন্ত তাকে কোনো থানা বা আদালতে হস্তান্তর করা হয়নি। এ অবস্থায় আমরা অবিলম্বে মোছাব্বিরকে জনসমক্ষে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রিন্স বলেন, মোছাব্বিরের স্ত্রী রাজধানীর বিভিন্ন থানায় খুঁজে অবশেষে তাকে তেজগাঁও থানায় খুঁজে পান। মোছাব্বিরের অনুরোধের পুলিশ তার স্ত্রীকে একনজর দেখার সুযোগ করে দেন। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি অস্বীকার করে পুলিশ।
মোছাব্বিরের স্ত্রী সুরাইয়া বেগম বলেন, ৮ ডিসেম্বর সকালে ১১টার সময় উত্তরার একটি হাসপাতালে ৬০৩ নম্বর কেবিনে বিএনপির একজন কর্মীকে রক্ত দেওয়া অবস্থায় সাদাপোশাকে কয়েকজন মোছাব্বিরকে তুলে নিয়ে যায়। সেইদিন সন্ধ্যায় তাকে ঢাকা তেজগাঁও থানায় হস্তান্তর করা হয়। আমি থানায় গিয়ে আমার স্বামীর সঙ্গে সাক্ষাত করি, কথা বলি, খাবারও দেই। পরদিন ৯ ডিসেম্বর নাস্তা নিয়ে আবার থানায় গেলে সেখান থেকে জানানো হয় সে থানায় নেই, ডিবি অফিসে খোঁজ নিন। আমি সেখানে গেলে তারাও বলে তাদের কাছেও নেই। আমি আমার তিন বাচ্চা নিয়ে ৫ দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর নেয়, কিন্তু কেউ স্বীকার করেনি।
তিনি আরও দাবি করেন, আমার কাছে মোছাব্বিরকে গ্রেফতার করার ডকুমেন্টস আছে। যেমন-সিসিটিভির ফুটেজ ও গ্রেফতারের ছবিও আছে, তারপরও তারা অস্বীকার করছে।
আরও পড়ুনঃখালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন