বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৮:১৪ অপরাহ্ন

চির সবুজের বুকে কাঁচা হলুদের আলপনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২৬ বার পঠিত

সবুজ পাতার ফাঁকে হলুদ ফুলের পাপড়ি। যেন চির সবুজের বুকে কাঁচা হলুদের আলপনা। নাটোরের চলনবিলের মাঠ হলুদ সর্ষে ফুলে ভরে উঠেছে। এবার নাটোরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৬০ হেক্টর জমিতে বেশি সরিষা চাষ হওয়ায় আশায় বুক বেঁধেছেন চাষিরা।

আরও পড়ুনঃসংসদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা বৃহস্পতিবার:ইসি

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নাটোর জেলায় সরিষা আবাদে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ২২৫ হেক্টর, চাষ হয়েছে ৮ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমিতে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬৬০ হেক্টর জমিতে বেশি চাষ হয়েছে। যার মধ্যে জেলার সিংড়া উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার ২৩৫ হেক্টর আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর, নলডাঙ্গা উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫২০ হেক্টর আবাদ হয়েছে ৪৮০ হেক্টর, সদর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ১২০ আবাদ হয়েছে ১ হাজার ১৫০ হেক্টর, গুরুদাসপুর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫৭০ আবাদ হয়েছে ৮৫০ হেক্টর, বড়াইগ্রাম উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৯০ হেক্টর আবাদ হয়েছে ৯০০ হেক্টর, বাগাতিপাড়া উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৯০ আবাদ হয়েছে ৪৯০ হেক্টর এবং লালপুর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০০ আর সরিষা আবাদ হয়েছে ৫১৫ হেক্টর জমিতে।

চলনবিলের কৃষক সোলাইমান জানান, এ বছর আমি ৪ বিঘা জমিকে সরিষার আবাদ করেছি। প্রায় সব জমিতে প্রচুর ফুলে এসেছে। আশা করছি এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার ফলন বেশ ভালো হবে। অন্য বছরের তুলনায় এ বছর সরিষার দাম বাড়তে পারে।

কৃষক নিতাই চন্দ্র বলেন, এ বছর সরিষা গাছে প্রচুর ফুল এসেছে। এতে করে ফলন ভালো হবে বলে আশা করছি। এখন পর্যন্ত জমিতে কোনো পোকার দেখা নেই। যদি পোকা আক্রমণ করে তাহলে ফলন কমে যাবে। গত বছর তিনি ৪ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করে তেমন ফলনের মুখ দেখতে পায়নি। এ বছর সরিষার বাম্পার ফলন হবে বলে মনে হচ্ছে।

সরিষা চাষি আফাজ উদ্দিন বলেন, আমি এ বছর ৫ বিঘা জমিতে সরিষার আবাদ করেছি। ক্ষেতে সরিষার ফুল ভালো এসেছে। ফলনও বেশ ভালো হবে আশা করছি। বর্তমানে বীজ ও সারের দাম বেশি থাকায় চাষ করতে বাড়তি খরচ হচ্ছে। যদি সরকার সরিষার দামটা নির্ধারণ করে দেয় তাহলে আমরা কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাব।

আরও পড়ুনঃঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের চার কর্মকর্তাকে বদলি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..