মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৮:১০ পূর্বাহ্ন

করোনা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যব্যবস্থার অনেক ত্রুটি উন্মোচন করেছে

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৪১ বার পঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গরিব মানুষের জন্য সাশ্রয়ীমূল্যে ইনসুলিন এবং অন্যান্য জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সুবিধা নিশ্চিত করতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।

আরও পড়ুনঃঅস্থিত রক্ষায় আ.লীগের নেতাকর্মিদের ঐক্যের বিকল্প নেই:কাদের

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যব্যবস্থার অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি উন্মোচন করেছে। ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য এনসিডি’র (নন-কমিউনিকেবল ডিজিস) জন্য আরও বেশি মারাত্মক হতে পারে এমন বৈষম্য মোকাবিলা করার জন্য আমাদের সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিতে হবে।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ডায়াবেটিসের বৈশ্বিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পর্তুগালের লিসবনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ডায়াবেটিস কংগ্রেস-২০২২ এ প্রচারিত এক ভিডিও বার্তায় এ কথা বলেন।

সমস্ত ডায়াবেটিস রোগী এবং সেবাদানকারীর পক্ষে তিনি অবিলম্বে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর জন্য বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের অবশ্যই আন্তর্জাতিক অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করতে হবে এবং আমাদের জনগণের স্বাস্থ্য-শিক্ষার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সম্পদ ব্যবহার করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ডায়াবেটিস এবং সংশ্লিষ্ট রোগে আক্রান্ত প্রত্যেকের কাছে আমরা সঠিক চিকিৎসা ও যত্ন যাতে পৌঁছাতে পারি তা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একটি শান্তির বিশ্ব থাকা দরকার। ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও গবেষণায় বিনিয়োগের জন্য আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক সদিচ্ছাকে সচল করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গ্লোবাল অ্যাম্বাসেডর হিসেবে তিনি বিষয়টি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের নজরে আনতে তার ভূমিকা রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এসময় তিনি আন্তর্জাতিক ডায়াবেটিস ফেডারেশনকে (আইডিএফ) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিশ্ব স্বাস্থ্য নেতৃবৃন্দের সঙ্গে গ্লোবাল ডায়াবেটিস কমপ্যাক্ট বাস্তবায়নে সহায়তা করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, চিকিৎসা ও গবেষণার জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়নের কোনো বিকল্প নেই। ডব্লিউএইচও বলেছে, বিশ্বে প্রায় ৪২২ মিলিয়ন মানুষ ডায়াবেটিসে ভুগছে এবং এই রোগে প্রতি বছর প্রায় ১৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। বাংলাদেশে শিশুসহ ৮.৫ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ডায়াবেটিস এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অসুস্থতা নিয়ে বসবাস করে।

‘তবে ডায়াবেটিস থেকে জটিলতা ও অকাল মৃত্যু প্রতিরোধ করা যেতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর খাবারের মতো কিছু জীবনযাত্রার পরিবর্তন অনেক পার্থক্য করতে পারে। সঠিক ওষুধ এবং সতর্কতার মাধ্যমে একজন ডায়াবেটিস রোগী নিয়মিত জীবন উপভোগ করতে পারেন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডা ডায়াবেটিসের মতো অসংক্রামক রোগ-এনসিডিকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

তিনি ডায়াবেটিস প্রতিরোধ, যত্ন এবং নিরাময় প্রচারের জন্য আইডিএফের কাজের প্রশংসা করে বলেন, এটি ২৪০টি জাতীয় ডায়াবেটিস সমিতিকে এক ছাতার নিচে একত্রিত করেছে এবং এটি সত্যিই একটি অনন্য অর্জন।

প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একটি রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে ১৪ নভেম্বরকে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস হিসেবে ঘোষণা করে আইডিএফ’র সঙ্গে বাংলাদেশের পূর্ববর্তী সহযোগিতার কথা স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য প্রধান এনসিডি থেকে অকাল মৃত্যুহার এক-তৃতীয়াংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার একটি গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি বাস্তবায়ন করছে যা কমিউনিটি সচেতনতার মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকে গুরুত্ব দেয়।

তার সরকার সম্প্রতি দেশের সরকারি হাসপাতালে ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদান করছে জানিয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে ১৮ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রশিক্ষিত পেশাদার এবং ডায়াবেটিস পরীক্ষার সুবিধা রয়েছে।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশন দেশব্যাপী ডায়াবেটিস রোগীর যত্ন এবং সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক 

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..