মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. কামারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সার্বিকভাবে দেশের মাটির স্বাস্থ্য ভালো নেই। মাটির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার হচ্ছে। মাটির কোনো বিশ্রাম নেই। অতিব্যবহারে মাটির তিনটি চরিত্রই ক্ষতিগ্রস্ত।’
মাটি নিয়ে গবেষণার কমতি নেই। সে তুলনায় মাটি সংরক্ষণ বা মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় উদ্যোগ চোখে পড়ে না।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ভৌত চরিত্র অনুযায়ী ৯ ধরনের মাটি (মৃত্তিকা দল) আছে। সব ধরনের মাটির রাসায়নিক গুণাবলি পরীক্ষা করেছে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট। তাতে দেখা গেছে, মাটিতে প্রয়োজনীয় রাসায়নিকের পরিমাণ কম।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মতো ৪৬০টি উপজেলার মাটির গুণাগুণ বা রাসায়নিকের তথ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে একই চিত্র পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট প্রতিটি উপজেলার ভূমি ও মাটি ব্যবহার নির্দেশিকা তৈরি করেছে। কোন জমিতে কোন ফসলের জন্য কোন সার কী পরিমাণে ব্যবহার করতে হবে, তার পরামর্শ আছে নির্দেশিকায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ এনায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, মাটির স্বাস্থ্য দিনে দিনে নষ্ট হচ্ছে। মাটির সুষ্ঠু ব্যবহারের আপাতত কোনো বিকল্প দেখা যাচ্ছে না। তবে উপজেলাভিত্তিক এ নির্দেশিকা অনুসরণ করা যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃবায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা বিভাগ