বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিম রহমান (২৮) মারা গেছেন। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন শজিমেক হাসাপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ।
গত ২৩ নভেম্বর (বুধবার) সন্ধ্যায় হাসপাতালের ২ নম্বর গেটে ঝালমুড়ি বিক্রেতা শাকিলের ছুরির আঘাতে তিনি আহত হয়েছিলেন। এরপর প্রথমে তাকে শজিমেক হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুনঃপ্রধানমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামে জনসভায় ভাষণ দেবেন
মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী ও থানা পুলিশ জানায়, বুধবার সন্ধ্যার পর শজিমেক হাসপাতালের দুই নম্বর গেটের সামনে ঝালমুড়ি বিক্রেতা ফরিদ ব্যাপারীর সাথে কথা কাটাকাটি হয় ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিম রহমানের। এ সময় ফরিদ ব্যাপারীর ছেলে শাকিল আহম্মেদ পেঁয়াজ কাটা ছুরি দিয়ে ফাহিম রহমানের পেটে আঘাত করে। এ ঘটনার পর রাতেই পুলিশ ফরিদ ব্যাপারী ও তার ছেলে শাকিল আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করে।
ফাহিম রহমানকে তাৎক্ষণিক বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে পরদিন ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার সকালে তিনি মারা যান।
ছাত্রলীগ বগুড়া শজিমেক শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. মোফাজ্জল হোসেন রনি জানান, ফাহিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তার পেটের প্রায় ৬ ইঞ্চি ভেতরে ছুরি ঢুকে নাড়ি কেটে যায়। ঢাকায় নেওয়ার পর তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।
শজিমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসক ফাহিম রহমানকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় বুধবার রাতেই তার বাবা ঢাকার সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা নুর মোহাম্মদ বগুড়ায় এসে থানায় মামলা করেছেন। সেই মামলায় ফরিদ ব্যাপারী ও তার ছেলে শাকিলকে ওই রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়ে