রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন

১৯ বছর থেকে বন্ধ ঠাকুরগাঁও বাস টার্মিনাল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২২
  • ৩৯ বার পঠিত

নির্মানের ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও চালু হয়নি ঠাকুরগাঁওয়ের কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল। বিদ্যুৎ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকার অজুহাতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের অনীহায় স্থাপনাটি এখন মাদক সেবীদের আখরায় পরিণত হয়।

আরও পড়ুনঃশক্তি দেখিয়ে গণতান্ত্রিক নির্বাচন হবে না: সিইসি

প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়াই একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত বাস টার্মিনালটি উদ্বোধনের পর ১৯ বছর থেকে অব্যবহৃত অবস্থায় থাকায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্র। একদিকে টার্মিনালের দোকানঘর ও বিভিন্ন অবকাঠামোসহ মূল ভবন নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে মহাসড়কের ওপর কয়েক জায়গায় বাস দাঁড়ানোর ফলে ঘটছে দুর্ঘটনা, সৃষ্টি হচ্ছে যানজট।

২০০৩ সালে শহরের পূর্বদিকে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় সড়কের পাশে টার্মিনালটি নির্মিত হয়। জায়গাটি ছিল মালিক সমিতির। পৌরসভা ২.৪৯ একর জমি মূল্য দিয়ে অধিগ্রহণ করে ও এলজিইডির মাধ্যমে ৬৬.৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে টার্মিনাল নির্মাণ করে। আধুনিকমানের বাস টার্মিনাল নির্মিত হলেও তার মালিকানা নিয়ে পৌরসভা ও বাস মালিক সমিতির রশি টানাটানির কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর সেটি ব্যবহার হচ্ছে না।

ঠাকুরগাঁও জেলা শহরের একমাত্র টার্মিনালটি বন্ধ থাকার ফলে টার্মিনালের বদলে মহাসড়কের পাশেই যাত্রি ওঠা নামা করায় প্রায়ই সময় ঘটছে দূর্ঘটনা। এনিয়ে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো মাথা ব্যাথ্যা ।

দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকায় পরিবহন চালক আর শ্রমিকদের হাক-ডাক আর যাত্রীদের আনা-গোনা নেই। পুরো ভবন জুড়েই যেন বখাটে ও মাদক সেবীদের রাজত্ব। টিকেট কাউন্টার, ওয়াশ রুম, ওয়েটিং রুমুসহ প্রয়োজনীয় যাত্রী সবিধা নিয়ে ২০০৩ সালে নির্মাণ করা হয় ঠাকুরগাঁও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল।

কিন্ত প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা টার্মিনালটি মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে টার্মিনালের লাইটিং ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটি দাবি করে টার্মিনালটি ছেড়ে চলে যান পরিহন মালিক শ্রমিকেরা। এরপর থেকে গত ১৯ বছর থেকে অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এটি। এবং পরিবহন মালিকরা মহসড়কের পাশে অস্থায়ী চেয়ার-টেবিলের তৈরি কাউন্টারে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। যার জন্য মাঝে মাঝে ঘটছে দূর্ঘটনা।

স্থানীয়দের দাবী এটি সংস্কারের মাধ্যমে পুনরায় নতুন ভাবে চালু হলে, যাত্রীদের ভোগান্তি দূর হবার পাশাপাশি প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত সড়ক দূর্ঘনার শিকার আর সাধারণ মানুষকে হতে হবে না।

পৌরসভার মেয়র, আন্জুমান আরা বন্যা বলেন, আমরা প্রতি বছর এটি লিজ দেই। তখন তারা কি করেন তা আমাদের আর দেখ-ভালের তেমন সুযোগ থাকেনা। তবে আমারা এটি চালুর জন্য উদ্যোগ নিবো। যাতে এটি সঠিক ভাবে পরিচালিত হয়।

দিনাজুর গমনকারী যাত্রী মোছাঃ সুলতানা বিলকিস বলেন, সরকার এতো টাকা খরচ করে এই টার্মিনালটি তৈরি করেছেন। যদি এটির সঠিক ব্যবহার হতো তবে আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীরা উপকৃত হবে।

রংপুর গমনকারী মোঃ মকছেদুল ইসলামু বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এই বাস টার্মিনালটি সংস্কার করা হলে, সবার জন্য যাতায়াতের সুবিধা হবে।

আরও পড়ুনঃদেশের অর্থনীতি এখনো গতিশীল ও নিরাপদ: প্রধানমন্ত্রী

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..