মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ১০:০১ অপরাহ্ন

বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২২
  • ৪৯ বার পঠিত

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এখনই তৃণমূল আওয়ামী লীগের কোন্দল নিরসনের তাগিদ দিয়েছেন। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দল ও বিভেদ-বিভাজন ভুলে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ১০ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে গণভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তিনি এমন নির্দেশনা দেন।

আরও পড়ুনঃপ্রবেশমুখে ময়লার স্তূপ, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

সূত্র জানায়, বৈঠকে জেলা নেতারা দলীয় সভাপতির কাছে বিভিন্ন বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন। একই সঙ্গে সংগঠনে কিছু ব্যক্তির কারণে সৃষ্ট তৃণমূলের কোন্দলের কথাও তুলে ধরেন। দলীয় সভাপতি তৃণমূল নেতাদের কথাগুলো শুনে বলেন, নির্বাচন সামনে রেখে নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ভুলে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। এখনই কোন্দল নিরসন করতে হবে। নিজেদের ভেদাভেদ ভুলে যেতে হবে। নিজেদের ঐক্য না থাকলে ক্ষমতায় আসা যাবে না। কাজেই সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে।

বৈঠকে ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট ও কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন, ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গণভবনে মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার, সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তারা সম্মেলন নিয়ে কথা বলেন দলীয় সভানেত্রীর সঙ্গে।

বৈঠকে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, নেত্রী আমাদের জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি দ্রুত দিতে বলেছেন। আমরা কেন্দ্রে জমা দিয়েছি। এ সময় উপস্থিত বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমকে দলীয় সভাপতি দ্রুত কমিটি পাশ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। শেখ হাসিনা বলেন, শুধু ফরিদপুরই নয়, যেসব জেলা কেন্দ্রে একক কমিটি জমা দিয়েছে, সেগুলো দ্রুত অনুমোদন দিতে হবে। যেখানে একাধিক কমিটি জমা পড়েছে সেগুলো সমন্বয় করতে হবে। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। জানা গেছে, এই বৈঠকে অংশ নেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, মহানগর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।

আরও পড়ুনঃপ্রবেশমুখে ময়লার স্তূপ, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..