তিনদিনের ব্যবধানে ঈশ্বরদীতে ফের ডিমের দাম কমে গেছে। খামারিদের ডিম বিক্রির টাকায় মুরগির খাদ্য ও ওষুধের দাম উঠছে না। মুরগির খাবার, বাচ্চা, ওষুধ, শ্রমিকের মজুরি, খামার তৈরির নানা উপকরণের দাম বৃদ্ধিতে খামার টিকিয়ে রাখা এখন কষ্টকর।
আরও পড়ুনঃইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান মোদির
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে ক্রমাগত ডিমের দাম নেমে যাচ্ছে। সোমবার বিকেলে এবং মঙ্গলবার সকালে খামারিরা প্রতিটি ডিম সাড়ে আট টাকার বেশি অর্থাৎ একশত ডিম ৮৬০ টাকায় বিক্রি করেছেন। যা গত ১২ ডিসেম্বরও বিক্রি হয়েছে ৯ টাকাও বেশি। এতে খামারিরা চরমভাবে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন।
খামারিরা বলছেন, প্রতিটি ডিমের উৎপাদন ব্যয় হচ্ছে সাড়ে ১০ টাকা। পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা ৬০ পয়সায়। ডিম প্রতি লোকসান হচ্ছে এক টাকা ৯০ পয়সা।
ঈশ্বরদীর ডিমের আড়ৎ ঘুরে জানা গেছে, নভেম্বরের শুরুতে খামারিরা এক হালি ডিম ৪২-৪৪ টাকায় বিক্রি করেছেন। বাজারে আমদানি বেড়ে যাওয়ায় এখন আড়তে প্রতি হালি ৩৪ টাকা ৪০ পয়সায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা।
কলেজ রোডের ডিম আড়তের খায়রুল ইসলাম জানান, খামারিদের কাছ থেকে ৩৪ টাকা ৪০ পয়সা হালি দরে ডিম কিনে ৩৫ টাকায় পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীতে ডিমের দাম নির্ধারণ হয়। খুচরা বা পাইকারি ব্যবসায়ীরা মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডিমের বাজার দর জেনে ডিমে কিনতে আসে। আমদানি বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বাজারে মাছের আমদানি ও সবজির দাম কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।
দাশুড়িয়ার খামারি নজরুল ইসলাম জানান, আবারও তিনদিনের ব্যবধানে খামারে ডিমের দাম কমেছে শতকরা ৫০ টাকা। ৪২ টাকা হালির ডিম এখন ৩৪ টাকা ৪০ পয়সায়। অথচ প্রতিটির উৎপাদন খরচ প্রায় ১০ টাকা ৫০। প্রতি ডিমে লোকসান হচ্ছে ১ টাকা ৯০ পয়সা। এনজিও’র ঋণের বোঝা সুদসহ বাড়ছে। এভাবে চলতে থাকলে খামার বন্ধ হয়ে যাবে।
পাবনা জেলা পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আকমল হোসেন জানান, ডিমের দাম এভাবে কমতে থাকলে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র খামারিরা কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। তখন ডিম উৎপাদনকারী বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো সিন্ডিকেট করে ডিম ও মুরগির মাংসের দাম বাড়িয়ে দেবে। ডিমের বাজারদর ওঠানামা করার পেছনে যে সিন্ডিকেট আছে তার লাগাম এখনই টেনে ধরার জন্য তিনি সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃইউক্রেনে যুদ্ধবিরতির আহ্বান মোদির