হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এবারও উনারা (বিএনপি) বলছেন নির্বাচনে যাবেন না। কিন্তু বিএনপির অনেক নেতাকে আমি জানি, চিনি। মির্জা ফখরুল যা-ই বলুন, বিএনপি নেতারা নির্বাচনে যাওয়ার জন্য উদ্গ্রীব হয়ে বসে আছেন।’
এর আগে আজ সকালে জাতীয় জাদুঘরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী। সেখানকার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমি একটু আগে সেই প্রোগ্রাম থেকে এসেছি, যেখানে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্যের শিকার নিহত ব্যক্তিদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের আর্তনাদ পুরো মিলনায়তনকে কাঁদিয়েছে। বিদেশি কূটনীতিকেরা সেখানে ছিলেন, তাঁরা কেঁদেছেন। আমি নিজে কাঁদতে বাধ্য হয়েছি। সাংবাদিকেরা কেঁদেছেন, প্রধানমন্ত্রীও সেখানে তাঁর চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘প্রত্যেক বক্তা বলেছেন, আমরা যেন জীবদ্দশায় আমার স্বামী, সন্তান বা পিতা হত্যার বিচার দেখে যেতে পারি। ১৯৭৭ সালে বিনা বিচারে নিহত ব্যক্তির সন্তানেরা বলেছেন, আমাদের বাবার কবর কোথায় জানি না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁরা দাবি করেছেন, তাঁদের বাবার কবর কোথায়, সেটি যেন জানতে পারেন এবং এই হত্যাকাণ্ডের যাতে বিচার হয়।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান হাজারো সেনাসদস্যকে বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে যারা অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করেছিল, বিএনপি সেই দল। যারা মাঠে গিয়ে বোমা নিক্ষেপ করেছে, শুধু তারা নয়, এগুলোর পেছনে অর্থায়ন আছে, হুকুমদাতা আছে। বিএনপির হুকুমদাতা আর অর্থদাতাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। এটি এখন সময়ের দাবি। যাদের আর্তনাদ শুনেছি, তাদের দাবি।’
সচিবালয়ে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের মতবিনিময় সভায় সংগঠনের সভাপতি কাওসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ উল হক উপস্থিত ছিলেন।